কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ডাকা সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই যানবাহন কম। অধিকাংশ সড়কেই একই চিত্র। এতে যানবাহন সংকটে বিপাকে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ।
কিছু কিছু রাস্তায় দেখা মিলছে দুয়েকটি যানবাহনের। তবে, সেক্ষেত্রে গুণতে হচ্ছে বেশি ভাড়া। আর এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন বেশিরভাগ অফিসগামী মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর জুরাইন, পোস্তগোলা, পল্টন, রামপুরা এলাকায় দীর্ঘ সময় কাঙ্ক্ষিত বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে যাত্রীদের। এসময় দু-একটি বাস এলেও সেগুলো যাত্রীতে পরিপূর্ণ। এছাড়া রিকশা কিংবা সিএনজিতে যেতে চাইলেও অতিরিক্ত ভাড়ার চাওয়ায় বিরক্ত যাত্রীরা। আবার অনেকে বাসে উঠতে পারবে না এমন আশঙ্কা থেকে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা হন।
এমনই ভোগান্তিতে পড়া এক কর্মজীবী নারী নাসিমা আক্তার জানান, তিনি এয়ারপোর্ট এলাকায় যাবেন। কিন্তু যানবাহন কম থাকায় দাঁড়িয়ে আছেন। আর সিএনজিতে দ্বিগুণ ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। তাই কি করবেন সেটা নিয়ে চিন্তিত তিনি।
এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকেই। মোড়ে মোড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থান করতে দেখা যাচ্ছে।
এর আগে গতকাল বুধবার রাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে আজে সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
জরুরি সেবা, অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধ ও খাদ্য পণ্য বহনকারী যানবাহন এই শাটডাউনের আওতার বাইরে থাকার ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ঘোষিত দেশব্যাপী ‘কমপ্লিট শাটডাউনকে’ কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকাসহ সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মঙ্গলবার পুলিশ ও ছাত্রলীগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে তিন জেলায় ৬ জনের মৃত্যু হয়। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সব পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সিটি এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও।