শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর আজ থেকে শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা মাঠে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, ‘ছাত্রলীগ আক্রান্ত হয়েও ধৈর্য ধারণ করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। পাল্টা আক্রমণ করেনি তাঁরা। চট্টগ্রামেও ছাত্রলীগকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সবসময় গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করলেও গত কয়েকদিন ছাত্রলীগকে যে মারা হলো তা তেমনভাবে প্রচার করা হয়নি। এ আন্দোলন এখন আর সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন নয়, এটি বিএনপির আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।’
জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলেন হুঁশিয়ারি দেন কাদের। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ সকল সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তিকে সাথে নিয়ে অপশক্তি মোকাবিলারও আহ্বান জানান কাদের।
বিএনপির দুর্নীতিবাজ পলাতক নেতা তারেক রহমানের নির্দেশেই ছাত্রদল সাধারণ ছাত্রদের সাথে মিশে দেশকে অস্থিতিশীল করেছে বলেও দাবি করেন কাদের। বলেন, সারা দেশে চট্টগ্রাম, বগুড়াসহ গতকালও যাত্রাবাড়ীতে হামলা করা হয়েছে, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্যই তারেক রহমানের ক্যাডার বাহিনী সরাসরি যুক্ত। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এমন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করা সম্ভব নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ থেকে শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে কোটাবিরোধী আন্দোলনের বিপরীতে বিএনপি-জামায়াত তাদের পুরোনো আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নেমেছে। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ জায়গা হিসেবে ব্যবহার করে ইতোমধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছে। প্রথম থেকেই পুলিশ সহনীয় ভূমিকা পালন করেছে। যার কারণে রাষ্ট্রপতি বরাবর শিক্ষার্থীরা তাদের স্মারকলিপি সরাসরি প্রদান করতে পেরেছেন।
কাদের বলেন, বিএনপি মধ্যযুগীয় কায়দায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।