ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের নিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৭৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কোটা আন্দোলন ঘিরে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখেছেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে ৪৯টি মিশনের কূটনীতিক ও ভারত, চীন, রাশিয়া জার্মানি ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতরা স্থাপনাগুলো পরিদর্শনে যান। তবে ছিলেন না যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইইউ’র কোন প্রতিনিধি।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহিংসতায় ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো পরিদর্শনে যান কূটনীতিক মিশনের শীর্ষ ব্যক্তিরা। এতে যোগ দেন ২৩ দেশের রাষ্ট্রদূত ও ৪৯টি মিশনের কূটনীতিকসহ চীন, ভারত, রাশিয়া ও জার্মানীর রাষ্ট্রদূতরা।

ঘুরে দেখেন মিরপুরের মেট্রোরেল স্টেশন, বিটিভিসহ ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি স্থাপনা। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিফ করেন সাংবাদিকদের। বলেন, ধংসযজ্ঞ দেখে হতবাক হয়ে যান বিদেশিরা। বিভিন্ন দেশে বিএনপির সমর্থকরা পাকিস্তানিদের সহায়তা নিয়ে বিক্ষোভ করেছে বলেও অভিযোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, লস অ্যাঞ্জেলসে আমাদের মিশনের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে পাকিস্তানিরা যোগ দিয়েছিল। বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেটি আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। একইভাবে আমাদের বিভিন্ন মিশনের সামনে যে বিক্ষোভ হয়েছে, সেখানেও বিএনপি-জামায়াত চক্র পাকিস্তান কমিউনিটির সহায়তা নিয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সহিংসতার ঘটনায় কতজন মারা গেছে তা বাংলাদেশিদের মতো বিদেশিরাও জানতে চান। জানান, আন্দোলনে জাতিসংঘের গাড়ি ব্যবহার হয়েছে ভুল করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জাতিসংঘের কোনো গাড়ি ব্যবহার হচ্ছে না। গাড়িগুলো জাতিসংঘ শান্তি মিশনে ভাড়া দেয়া হয়েছিল। সেই গাড়ির লোগোগুলো ভুল করে মোছা হয়নি। এখন সেগুলো মুছে ফেলা হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে আরব আমিরাতে শ্রমিক না নেয়ার খবরটি সঠিক নয় জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ দেখেছি, আরব আমিরাত আমাদের শ্রমিক নেয়া বন্ধ করেছে- এটা বোগাস। যারা এমন সংবাদ দিয়েছেন, তাদের এমন দেয়াটা সমীচীন হয়নি, সঠিক হয়নি। এ ধরনের সংবেদনশীল সংবাদ যাচাই-বাছাই করে দেয়া উচিত। আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন, তারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের নিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:১৯:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪

কোটা আন্দোলন ঘিরে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখেছেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে ৪৯টি মিশনের কূটনীতিক ও ভারত, চীন, রাশিয়া জার্মানি ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতরা স্থাপনাগুলো পরিদর্শনে যান। তবে ছিলেন না যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইইউ’র কোন প্রতিনিধি।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহিংসতায় ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো পরিদর্শনে যান কূটনীতিক মিশনের শীর্ষ ব্যক্তিরা। এতে যোগ দেন ২৩ দেশের রাষ্ট্রদূত ও ৪৯টি মিশনের কূটনীতিকসহ চীন, ভারত, রাশিয়া ও জার্মানীর রাষ্ট্রদূতরা।

ঘুরে দেখেন মিরপুরের মেট্রোরেল স্টেশন, বিটিভিসহ ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি স্থাপনা। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিফ করেন সাংবাদিকদের। বলেন, ধংসযজ্ঞ দেখে হতবাক হয়ে যান বিদেশিরা। বিভিন্ন দেশে বিএনপির সমর্থকরা পাকিস্তানিদের সহায়তা নিয়ে বিক্ষোভ করেছে বলেও অভিযোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, লস অ্যাঞ্জেলসে আমাদের মিশনের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে পাকিস্তানিরা যোগ দিয়েছিল। বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেটি আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। একইভাবে আমাদের বিভিন্ন মিশনের সামনে যে বিক্ষোভ হয়েছে, সেখানেও বিএনপি-জামায়াত চক্র পাকিস্তান কমিউনিটির সহায়তা নিয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সহিংসতার ঘটনায় কতজন মারা গেছে তা বাংলাদেশিদের মতো বিদেশিরাও জানতে চান। জানান, আন্দোলনে জাতিসংঘের গাড়ি ব্যবহার হয়েছে ভুল করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জাতিসংঘের কোনো গাড়ি ব্যবহার হচ্ছে না। গাড়িগুলো জাতিসংঘ শান্তি মিশনে ভাড়া দেয়া হয়েছিল। সেই গাড়ির লোগোগুলো ভুল করে মোছা হয়নি। এখন সেগুলো মুছে ফেলা হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে আরব আমিরাতে শ্রমিক না নেয়ার খবরটি সঠিক নয় জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ দেখেছি, আরব আমিরাত আমাদের শ্রমিক নেয়া বন্ধ করেছে- এটা বোগাস। যারা এমন সংবাদ দিয়েছেন, তাদের এমন দেয়াটা সমীচীন হয়নি, সঠিক হয়নি। এ ধরনের সংবেদনশীল সংবাদ যাচাই-বাছাই করে দেয়া উচিত। আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন, তারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেননি।