রাজধানীতে নাশকতার ১৫৪ মামলায় গ্রেপ্তার ১৭৫৮
- আপডেট সময় : ০৭:০২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪
- / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
নাশকতার সময় ঢাকায় ৬৯টি ট্রাফিক পুলিশ বক্স, ৩টি থানা ও ২টি ফাঁড়িতে ভাঙচুর, আগুন ও লুটপাট হয়েছে। চুরি হয়েছে পুলিশের অস্ত্রও। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি টাকা। এদিকে, ডিএমপিতে এখন পর্যন্ত ১৫৪ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১ হাজার ৭৫৮ জন। দুপুরে ডিএমপি জানায়, নাশকতাকারী, পরিকল্পনাকারী ও অর্থায়নকারীকে আইনের আওতায় আনা হবে।
কোটা আন্দোলনের মধ্যে ব্যপক সহিংসতায় গত বুধবার আগুন দেওয়া হয় রামপুরা ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনারের অফিস ও পুলিশ বক্সে। চুরি করা হয় ট্রাফিক বক্সে থাকা সরঞ্জামও।
ডিএমপি জানিয়েছে, রাজধানীর ৬৯টি পুলিশ বক্স, ২টি ডিসি ট্রাফিক অফিস, ৪টি এসি ট্রাফিক অফিস, ৩টি থানা ও ২টি পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ৮ কোটি ৭২ লাখ টাকার। চুরি হয়েছে ৪টি শর্টগান ও ১টি পিস্তল। নাশকতার পরিকল্পনাকারী, বাস্তবায়নকারী ও মাস্টারমাইন্ডদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। খোঁজা হচ্ছে অর্থায়নকারীদেরও।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘এটা যে স্তরের নেতাই হোক না কেন, আশ্রয়দাতা, প্রশ্রয়দানকারী, বিনিয়োগকারী তারা আসলে নেতা নয়, তারা আসলে সন্ত্রাসী। আর সন্ত্রাসীদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের যেখানে পাওয়া যায় সেখান থেকে ধরে এনে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে আমরা বদ্ধ পরিকর।’
এদিকে, চলমান অভিযানে নিরপরাধ কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না জানিয়ে ডিএমপি বলছে, কাউকে আটকের পর যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘আমাদের আইনের মূল স্পিরিটটা হলো একজন খারাপ লোক চলে যেতে পারে কিন্তু একজন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন জেলে না ঢুকে। কাজেই আমরা গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে অনেক বিচার বিবেচনা করছি। অনেক সময় থানায় ধরে নিয়ে আসার পরও যাচাই-বাছাই করছি। যদি কেউ নিরীহ লোক থাকে তাহলে তাকে সসম্মানে ছেড়ে দিচ্ছি।’
এদিকে, মঙ্গলবার ৮ থানার ওসিকে বদলি করা হয়েছে। তবে এটি স্বাভাবিক বদলি বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।