০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি তাণ্ডবে নিহত ১২১

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার খান ইউনিসে নতুন করে হামলায় কমপক্ষে ১২১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যুদ্ধবিমান ও ট্যাঙ্ক দিয়ে সেখানকার আবাসিক এলাকায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এ ছাড়া পালাতে থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালায় তারা। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। নতুন করে এ হামলার ঘটনায় আহতের সংখ্যা প্রায় ৩ শতাধিক।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুধুমাত্র মঙ্গলবার ‘সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী’ ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৯০ জন নিহত হয়। পূর্ব খান ইউনিসের বনি সুহেলা শহরে আটকে পড়া অনেক লোককে সরিয়ে নিতে কাজ করছে তারা। ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রচণ্ড প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে।

এর আগে, রোববার গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল খালি করার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। হামাস নেতারা শহরটিতে আস্তানা গেড়েছে বলে দাবি তেল আবিবের। ইসরায়েলের দাবি, খান ইউনিসে নিজেদের পুনরায় একত্রিত করার জন্য হামাসের চলমান প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লক্ষ্যে সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা জানায়, মাত্র একদিনে খান ইউনিসের প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার বাসিন্দাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে ইসরায়েলি সেনারা। অল্প বা কোনো অবকাঠামো নেই এমন এলাকায় পালানোর জন্য মাত্র কয়েক মিনিট সময় পায় সেখানকার বাসিন্দারা।

এদিকে, গাজা উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ও জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ফিলিস্তিনের দুই প্রধান রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহ। চীনের মধ্যস্থতায় মঙ্গলবার বেইজিংয়ে গোষ্ঠী দুটির নেতারা ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। হামাস ও ফাতাহ’র পাশাপাশি ফিলিস্তিনের আরও ১২টি গোষ্ঠী এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ৭ অক্টোবর থেকে অন্তত ৩৯ হাজার ১৪৫ জন নিহত এবং ৯০ হাজার ২৫৭ জন আহত হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত উপত্যকার ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা।

গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি তাণ্ডবে নিহত ১২১

আপডেট : ০৭:৩৪:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার খান ইউনিসে নতুন করে হামলায় কমপক্ষে ১২১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যুদ্ধবিমান ও ট্যাঙ্ক দিয়ে সেখানকার আবাসিক এলাকায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এ ছাড়া পালাতে থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালায় তারা। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। নতুন করে এ হামলার ঘটনায় আহতের সংখ্যা প্রায় ৩ শতাধিক।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুধুমাত্র মঙ্গলবার ‘সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী’ ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৯০ জন নিহত হয়। পূর্ব খান ইউনিসের বনি সুহেলা শহরে আটকে পড়া অনেক লোককে সরিয়ে নিতে কাজ করছে তারা। ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রচণ্ড প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে।

এর আগে, রোববার গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল খালি করার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। হামাস নেতারা শহরটিতে আস্তানা গেড়েছে বলে দাবি তেল আবিবের। ইসরায়েলের দাবি, খান ইউনিসে নিজেদের পুনরায় একত্রিত করার জন্য হামাসের চলমান প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লক্ষ্যে সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা জানায়, মাত্র একদিনে খান ইউনিসের প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার বাসিন্দাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে ইসরায়েলি সেনারা। অল্প বা কোনো অবকাঠামো নেই এমন এলাকায় পালানোর জন্য মাত্র কয়েক মিনিট সময় পায় সেখানকার বাসিন্দারা।

এদিকে, গাজা উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ও জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ফিলিস্তিনের দুই প্রধান রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহ। চীনের মধ্যস্থতায় মঙ্গলবার বেইজিংয়ে গোষ্ঠী দুটির নেতারা ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। হামাস ও ফাতাহ’র পাশাপাশি ফিলিস্তিনের আরও ১২টি গোষ্ঠী এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ৭ অক্টোবর থেকে অন্তত ৩৯ হাজার ১৪৫ জন নিহত এবং ৯০ হাজার ২৫৭ জন আহত হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত উপত্যকার ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা।