ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করলেন কমলা হ্যারিস
- আপডেট সময় : ১১:২৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪
- / ৩৮৩ বার পড়া হয়েছে
প্রথম নির্বাচনী সমাবেশেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেছেন ডেমোক্র্যাটদের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। আজ (বুধবার, ২৪ জুলাই) উইসকনসিনের সমাবেশে বক্তব্যে ট্রাম্পকে প্রতারক বলেও আক্রমণ করেন তিনি। এদিকে নিজের প্রার্থিতা এবং আসন্ন নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী।
মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড পরিমাণ অবৈধ অভিবাসী প্রবেশের জন্য কমলা হ্যারিসকে দায়ী করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কমলা হ্যারিসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘কমলা যেটাতে স্পর্শ করেন, সেটাই ধ্বংস হয়ে যায়।’
জবাবে উইসকনসিনের নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। ৩ হাজার জনতার সামনে ট্রাম্পকে প্রতারক ও অপরাধী বলে উল্লেখ করেন তিনি। ১৭ মিনিটের বক্তৃতায় ট্রাম্পের নানা অপরাধের বর্ণনা তুলে ধরেন।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেন, ‘ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে যুক্তরাষ্ট্র আরও পিছিয়ে যাবে। ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর, অ্যাটর্নি জেনারেল, আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। নারীদের হয়রানি, প্রতারণা, নিয়মনীতি না মানা এগুলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের ধরন।’বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর ডেমোক্র্যাটদের পছন্দের প্রার্থী এখন কমলা হ্যারিস। একদিনের ব্যবধানে প্রচারের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছেন ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। দলের পক্ষ থেকে প্রার্থিতা পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী কমলা। তিনি দাবি করেন আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পকে ধরাশায়ী করতে তার বিকল্প নেই।
এদিকে ডেমোক্র্যাট দলের সমর্থকরা কমলা হ্যারিসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাদের মতে ট্রাম্পকে একমাত্র তিনিই আটকাতে পারবেন। তার প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে তাদের।
এক ডেমোক্র্যাট সমর্থক বলেন, ‘ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জন্য কমলা হ্যারিস একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। আনুষ্ঠানিক মনোনয়নের আগেই ব্যাপক জনসমর্থন পাচ্ছেন তিনি। সত্যিই জো বাইডেনকে মিস করবো। তবে কমলারও দারুণ কাজের অভিজ্ঞতা আছে। নির্বাচনী দৌড়ে তিনি এগিয়ে যাবেন।’
অপর এক সমর্থক বলেন, ‘কথার যুদ্ধে ট্রাম্পের বিজয় হলেও ভোটের নির্বাচনে বেশি দূর যেতে পারবে না রিপাবলিকানরা। কমলা প্রার্থী হিসেবে অনেক এগিয়ে। তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের অধিকার রক্ষা হবে।’
প্রায় এক সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন শেষে নিজ বাড়ি ডেলওয়্যার থেকে ওয়াশিংটনে ফিরলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ নেই বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয় এবং আসন্ন নির্বাচনে দলের পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন জো বাইডেন।