প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গি, সন্ত্রাস ও জনগণের সম্পদ ধ্বংসের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। জনগণের সম্পদ ধ্বংসকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা চান তিনি।
একইসঙ্গে ধ্বংসের বিভৎসতা গণমাধ্যমে তুলে ধরার আহবান জানিয়েছেন। বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কাার্যালয়ে এডিটর’স গিল্ডের নেতৃবৃৃন্দ এবং সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকার আশপাশে সারা দেশ থেকে শিবির ও ছাত্রদলের ক্যাডাররা এসে আশ্রয় নিয়েছিল। ছাত্র আন্দোলনে লাশ পড়ার আগেই স্টেট ডিপার্টমেন্টের বক্তব্য চলে এলো যে, লাশ পড়ে গেছে। লাশের খবর দিলো কে তাদের? লাশ ফেলার নির্দেশটা কে দিলো?
তিনি বলেন, যারা আজ দেশের সর্বনাশটা করলো, তারা গণমানুষের জন্য বানানো সব স্থাপনায় আঘাত করলো। ক্ষতি হলো জনগণের। তাই জনগণকেই এই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, সোচ্চার হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা এনেছি আমরা, এটা তো বৃথা যেতে পারে না। যতক্ষণ আছি, ততক্ষণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, তার জন্য যা যা করণীয় আমি করবো। তাতে কে গালি দিলো আর সুনাম করলো, ওইটা নিয়ে আমি চিন্তা করি না। আমি চাই দেশের মানুষ ভালো থাকুক।
সন্ত্রাসীদের টার্গেট মুক্তিযুদ্ধ, উন্নয়ন ও আওয়ামী লীগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই ধ্বংসযজ্ঞ দেশবাসী ও আগামী প্রজন্মের জন্য বড় ক্ষতি, এটি তরুণদের বুঝতে হবে। গণতান্ত্রিক পরিবেশে কারফিউ দিতে চাননি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাণহানি ও সম্পদহানি বন্ধ এবং জনগণের নিরাপত্তায় কারফিউ দিতে হয়েছে।
পরিস্থিতির উন্নতি হলেই কারফিউ উঠিয়ে নেয়া হবে।কারফিউর জন্য দরিদ্র মানুষ যেন কষ্ট না পায় সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। টিসিবির মাধ্যমে সরকার তাদের সহায়তা দিচ্ছে।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের খবর প্রচারে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পেয়েছে মানুষ, এবার কুফলটা পেল। মানুষকে দোষ দেইনা আমি। মিথ্যাচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষায়, মানুষ যাতে সঠিক সংবাদ জানতে পারে, সেভাবেই সংবাদ পরিবেশন করুন আপনারা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মোঃ নাঈমুল ইসলাম খান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু।
সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ডিবিসি’র প্রধান সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা জার্নালের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দীপ আজাদ, আমাদের সময় সম্পাদক মাইনুল আলম, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাজাহান সরদার, ডিবিসি’র বার্তা সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির আশীষ সৈকত, বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, ৭১ টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার এডিটর মোল্লা আমজাদ, কিংস নিউজের হেড অব নিউজ নাজমুল হক সৈকত, আরটিভির মামুনুর রহমান খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।