ঢাকা ১১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দ্বন্দ্ব-শত্রুতা ভুলে জোট গঠনে একমত হামাস-ফাতাহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৮৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চীনের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্ব ও শত্রুতাকে পাশ কাটিয়ে ঐকমত্যের সরকার গঠনে একমত হয়েছেন ফিলিস্তিনের শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দল ফাতাহ এবং হামাসের শীর্ষ নেতারা। সেই সঙ্গে চুক্তিতে সই করেছেন তারা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বেইজিংয়ে এই চুক্তি সই হয়।

ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হওয়ার পর অঞ্চলটির শাসনকাঠামো নির্ধারণই এ চুক্তির লক্ষ্য। গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস ও পশ্চিম তীরের ক্ষমতাসীন দল ফাতাহ ছাড়াও দেশটির আরও ১২টি স্বাধীনতাকামী সংগঠন এই চুক্তিতে সই করেন। এ প্রসঙ্গে মধ্যস্থতাকারী চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, তিন দিন ধরে ব্যাপক আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যুদ্ধপরবর্তী গাজা শাসনের লক্ষ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করতে হবে। খবর সিএনএনের।

মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা মূসা আবু মারজুক বলেন, জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনে আজ আমরা একটি চুক্তিতে সই করেছি, এটি হচ্ছে জাতীয় ঐক্যের দিকে আমাদের পথচলার শুরু।

ইতোপূর্বে হামাস ও ফাতাহের মধ্যে স্থাপনের একাধিক চেষ্টা ব্যর্থ হয়। অবশেষে চীনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় একই ছাদের নিচে আসতে যাচ্ছে দল দুটি। হামাস নেতা মূসা আবু মারজুক সংবাদমাধ্যমে তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, আমরা ইতিহাসের একটি সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছি। ভয়াবহ ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে লড়াইয়ের জন্য ফিলিস্তিনিদের সামনে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

দ্বন্দ্ব-শত্রুতা ভুলে জোট গঠনে একমত হামাস-ফাতাহ

আপডেট সময় : ১১:৩২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪

চীনের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্ব ও শত্রুতাকে পাশ কাটিয়ে ঐকমত্যের সরকার গঠনে একমত হয়েছেন ফিলিস্তিনের শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দল ফাতাহ এবং হামাসের শীর্ষ নেতারা। সেই সঙ্গে চুক্তিতে সই করেছেন তারা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বেইজিংয়ে এই চুক্তি সই হয়।

ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসন শেষ হওয়ার পর অঞ্চলটির শাসনকাঠামো নির্ধারণই এ চুক্তির লক্ষ্য। গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস ও পশ্চিম তীরের ক্ষমতাসীন দল ফাতাহ ছাড়াও দেশটির আরও ১২টি স্বাধীনতাকামী সংগঠন এই চুক্তিতে সই করেন। এ প্রসঙ্গে মধ্যস্থতাকারী চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, তিন দিন ধরে ব্যাপক আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যুদ্ধপরবর্তী গাজা শাসনের লক্ষ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করতে হবে। খবর সিএনএনের।

মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা মূসা আবু মারজুক বলেন, জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনে আজ আমরা একটি চুক্তিতে সই করেছি, এটি হচ্ছে জাতীয় ঐক্যের দিকে আমাদের পথচলার শুরু।

ইতোপূর্বে হামাস ও ফাতাহের মধ্যে স্থাপনের একাধিক চেষ্টা ব্যর্থ হয়। অবশেষে চীনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় একই ছাদের নিচে আসতে যাচ্ছে দল দুটি। হামাস নেতা মূসা আবু মারজুক সংবাদমাধ্যমে তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, আমরা ইতিহাসের একটি সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছি। ভয়াবহ ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে লড়াইয়ের জন্য ফিলিস্তিনিদের সামনে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই।