০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ ২০ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১৭৫৮

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া সহিংসতায় ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানায় ১৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি হাজার হাজার। এসব মামলায় বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ ২০ নেতাসহ এখন পর্যন্ত এক হাজার ৭৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির বিভিন্ন থানা ও বিভাগ।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, সহিংসতার ঘটনায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো ঢাকাতেও চলছে সাঁড়াশি অভিযান। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬০১ জনকে। এখন পর্যন্ত ঢাকায় মোট গ্রেপ্তার এক হাজার ৭৫৮ জন। গ্রেপ্তারদের বেশিরভাগই জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মী।

বুধবার (২৪ জুলাই) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি বলেন, আন্দোলনের নামে যারা রাজধানীতে সহিংসতা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশ এক ১ হাজার ৭৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, ঢাকা জেলা বিএনপির সেক্রেটারি নিপুন রায় চৌধুরী, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম ও ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল।

আরও রয়েছেন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ঢাকা উত্তর বিএনপির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, বিএনপির নির্বাহী পরিষদের সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, বিএনপির কোষাধক্ষ্য রাশেদু্জ্জামান মিল্লাত, জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য সামিউল হক ফারুকী অন্যতম।

এদিকে, পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের সহিংসতায় সারা দেশে নিহত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা তিনজন, আহতের সংখ্যা এক হাজার ১১৭ জন। ঢাকাসহ সারা দেশে পুলিশের ২৮১টি যানবাহন ভাঙচুর ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময়ে পুলিশের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি মিলিয়ে ২৫৩টি স্থাপনায় ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ ২০ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১৭৫৮

আপডেট : ০৯:৪২:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া সহিংসতায় ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানায় ১৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি হাজার হাজার। এসব মামলায় বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ ২০ নেতাসহ এখন পর্যন্ত এক হাজার ৭৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির বিভিন্ন থানা ও বিভাগ।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, সহিংসতার ঘটনায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো ঢাকাতেও চলছে সাঁড়াশি অভিযান। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬০১ জনকে। এখন পর্যন্ত ঢাকায় মোট গ্রেপ্তার এক হাজার ৭৫৮ জন। গ্রেপ্তারদের বেশিরভাগই জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মী।

বুধবার (২৪ জুলাই) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি বলেন, আন্দোলনের নামে যারা রাজধানীতে সহিংসতা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশ এক ১ হাজার ৭৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, ঢাকা জেলা বিএনপির সেক্রেটারি নিপুন রায় চৌধুরী, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম ও ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল।

আরও রয়েছেন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ঢাকা উত্তর বিএনপির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, বিএনপির নির্বাহী পরিষদের সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, বিএনপির কোষাধক্ষ্য রাশেদু্জ্জামান মিল্লাত, জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য সামিউল হক ফারুকী অন্যতম।

এদিকে, পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের সহিংসতায় সারা দেশে নিহত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা তিনজন, আহতের সংখ্যা এক হাজার ১১৭ জন। ঢাকাসহ সারা দেশে পুলিশের ২৮১টি যানবাহন ভাঙচুর ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময়ে পুলিশের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি মিলিয়ে ২৫৩টি স্থাপনায় ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।