সরকারের নির্বাহী আদেশে টানা তিনদিনের ছুটির পর সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও ব্যাংক খুলেছে আজ। আর এতে রাজধানীর অধিকাংশ এলাকার সড়কে আজ (বুধবার, ২৪ জুলাই) সকাল থেকেই গাড়ির চাপ দেখা গেছে। কোথাও কোথাও তৈরি হয় তীব্র যানজট। গণপরিবহন কম থাকা আর যানজটের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয় অফিসগামীদের। তবে পুরোদমে দূরপাল্লার যানবাহন চালু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের।
গতকাল (মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই) স্থবিরতা কাটিয়ে সড়কে চাকার গতি বেড়েছে। আজ সকাল থেকে সেটি রূপ নিয়েছে যানজটে।
এদিন সকাল থেকে সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী ও এর আশপাশের এলাকার কাউন্টারগুলোতে বেড়েছে যাত্রীচাপ। এদিন কাউন্টারগুলোতে ডিজিটাল ও অ্যানালগ দুই পদ্ধতিতে বিক্রি হয় টিকিট। হাতে হাতেও টিকিট বিক্রি করতে দেখা যায় অনেক পরিবহন কোম্পানিকে।
জরুরি প্রয়োজনে কিংবা বাড়ি ফিরতে ঢাকা ছাড়ছে নগরবাসী। গন্তব্যের গাড়ি পেয়ে স্বস্তিতে তারা। রয়েছে ভাড়া বেশি নেয়ার অভিযোগ। তবে পূর্ব নির্ধারিত দামেই বিক্রির দাবি কাউন্টারগুলোর।
এক বাস যাত্রী বলেন, 'মাদারীপুর যাব বলে কাউন্টারে বসে আছি কিন্তু টিকিট পাচ্ছি না। এক সপ্তাহ আগে যাওয়ার কথা ছিল। তখন যাওয়া হয়নি। তাই এখন যাচ্ছি।'
টিকিট বিক্রেতারা বলেন, সকালে যাত্রী ছিল না। তবে ১১টার পর যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। কোনো বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে না। আগের ভাড়াই আছে।
এদিন অফিস খোলায় দূরপাল্লার যানবাহনের সাথে যুক্ত হয়েছে স্বল্প দূরত্বের গাড়িও। লোকাল বাসের সাথে দেখা যায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টাফ বাসও। তাতে বাসস্ট্যান্ড ও অফিসপাড়াগুলোতে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। বাড়তি সময় ব্যয় হয়েছে অফিসগামীদের।
তাদের একজন বলেন, 'তিনদিন অফিস বন্ধ থাকার পর আজ চালু হলো। সব সময় তো এমন যানজট থাকে না। সবাই এক সঙ্গে বের হয়েছে তাই চাপটা বেশি।'
এদিকে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিলতা দেয়া হয়।