আন্দোলন-সহিংসতার জেরে কারফিউ জারির পর আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে দেশ। রাজধানীসহ সারা দেশের পরিস্থিতি এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। গত দুই দিন কোথাও ঘটেনি সহিংসতা বা নাশকতার ঘটনা। কারফিউ শিথিলের সময় সড়কে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পরিস্থিতি ছিল শান্ত, রাস্তায় ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা। রাজধানীতে আজ বুধবার সকাল থেকে চলছে যাত্রীবাহী বাস।
আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিথিল হচ্ছে কারফিউ। তবে চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এর পরে কারফিউ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
এদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছে মাছ-ভর্তি ড্রাম, ককশিটের বাক্স। সেগুলো গাড়ি থেকে নামাতে ব্যস্ত শ্রমিক-ব্যবসায়ীরা। মধ্যরাতে কারওয়ান বাজারের চিত্র এটি। এ ছাড়া আজ সকাল থেকে যাত্রীবাহী বাসে চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ। সকাল থেকে বেড়েছে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সতর্ক অবস্থানে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ। বিভিন্ন চেকপোস্টে চলছে তল্লাশি। দেখা হচ্ছে পরিচয়পত্র ও কারফিউ পাস।
টানা কয়েকদিনের বিক্ষোভ-সহিংসতার পর আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে দেশ। রাজধানীসহ সারা দেশের পরিস্থিতি এখন শান্ত। সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় গত দুদিন কোথাও দুর্বৃত্তদের নাশকতা হয়নি। ফলে আতঙ্ক ও শঙ্কা কাটিয়ে স্বস্তি ফিরেছে জনমনে।
কয়েকজন যাত্রী জানান, বাস চলাচল করছে। গত কয়েকদিনে জরুরি প্রয়োজনে বের হয়ে অনেক ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। দিগুণ ভাড়ায় যেতে হয়েছে গন্তব্য। বাস চলাচল করা এখন আগের ভাড়ায় সময় মতো গন্তব্য যেতে পারছেন তারা।
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েকদিন সবকিছু বন্ধ থাকায় প্রভাব পড়েছে ব্যবসায়। আজ থেকে সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বাজারে ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়ছে।