দেশজুড়ে খুলেছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা
- আপডেট সময় : ০৭:০৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪
- / ৩৬৯ বার পড়া হয়েছে
পরিবেশ শান্ত হওয়ায় দেশজুড়ে খুলেছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা। বুধবার সকাল থেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কাজে যোগ দিয়েছে কর্মীরা। প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডই কারফিউ পাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারছেন তারা। কারখানা খোলায় স্বস্তি জানিয়েছেন তৈরি পোশাককর্মীরা।
গত কয়েকদিন কারখানা বন্ধ থাকায় লোকসানের কথা জানিয়েছেন মালিক ও ব্যবসায়ীরা। তবে চট্টগ্রামের বেশিরভাগ কারখানা মঙ্গলবারই খুলেছে। এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জটও খুলতে শুরু করেছে।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জে মোট ৪৫০টি রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস কারখানার মধ্যে বেশিরভাগই খুলে দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন পর কাজে যোগ দেওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে এসব কারখানায়।
একটি পোশাক কারখানার একজন কর্মী বলেন, ‘এখন কাজ চালু অইছে। আমরা কাজ করতেছি। কোনো সমস্যা অয় নাই।’
আরেককর্মী বলেন, ‘সুন্দরভাবে যেন কাজ করে যেতে পারি, এটাই প্রত্যাশা।’
সাভার শিল্পাঞ্চলেও খুলেছে পোশাক কারখানা। কাজে যোগ দিতে পেরে খুশি পোশাক কর্মীরা। ওই এলাকার এক পোশাক কর্মী বলেন, বলেন, ‘আজকে সকাল ৮টা বাজে অফিসে আইছি। রাস্তাঘাটে কোনো সমস্যা নাই। নির্ভয়ে চলে আসতে পারছি।’
গাজীপুরে ২ হাজারের বেশি তৈরি পোশাক কারখানার মধ্যে প্রথম ধাপে খুলেছে প্রায় তিনশ প্রতিষ্ঠান। কারখানায় উৎপাদন শুরু হওয়ায় মালিকের পাশাপাশি স্বস্তিতে শ্রমিকরাও।
এক নারী পোশাককর্মী বলেন, ‘কয়েকদিন আতঙ্কের ভেতরে ছিলাম। পরিশেষে কাজে ফিরতে পারছি, এইটাই অনেক।’
মালিকেরা বলছেন, গত কয়েকদিন সব কারখানা বন্ধ থাকায় বড় লোকসানে পড়েছে পোশাক খাত। উৎপাদন চালু করে দ্রুত ক্রেতাদের অর্ডার সরবরাহের চেষ্টা করছেন তারা।
সাদমা গ্রুপের পরিচালক মো. সোহেল রানা বলেন, ‘আমাদের ফ্যাক্টরির যে নিরাপত্তা, সেইসঙ্গে ফ্যাক্টরির লোকজনের যে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ– সবকিছুর সমন্বয়ে আমরা ফ্যাক্টরি খুলতে পেরেছি। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ফ্যাক্টরি চলছে।’
বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে পোশাক কারখানা ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিজিবির৬৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গার্মেন্টস শিল্পে যাতে কোনো ধরনের দুষ্কৃতিকারীরা এসে নাশকতা করতে না পারে বা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে–এই গার্মেন্টস শিল্প রক্ষার জন্য আমরা বর্তমানে নিয়োজিত রয়েছি।’
শিল্প এলাকায় কারখানা ও শ্রমিকদের নিরাপত্তায় মোতায়েন হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। শিল্প পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির পাশাপাশি রয়েছে সেনাবাহিনীর টহল। পর্যায়ক্রমে সব কারখানা খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।