ঢাকা ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজায় হামলায় নিহত মায়ের পেটে জীবন্ত শিশু!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪
  • / ৪১৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরায়েলি বিমান হামলায় নয় মাসের গর্ভবতী ওলা আল-কুর্দ মারা গেলেও বেঁচে গেছে তাঁর গর্ভের সন্তান। গাজার এ ঘটনাটিকে ‘অলৌকিক’ বলে মনে করছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

গত ১৯ জুলাই গাজার মধ্যাঞ্চলীয় আল-নুসেইরাতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় বেশ কিছু ঘরবাড়ি গুড়িয়ে যায়। ওই বিস্ফোরণে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ অনেকেই নিহত হন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ওলার শিশু সন্তান ও স্বামী বেঁচে যান। তারা দুজন এখন হাসপাতালে আছেন।

ওলার বাবা আদনান আল-কুর্দ জানান, “ওলা শহীদ হলেও ওর পেটের সন্তানটি বেঁচে ছিল, এটি একটি অলৌকিক ঘটনা। ”

বিমান হামলার পর ওলাকে প্রথমে নুসেইরাতের আল আওদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওলা মারা গেলেও হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁর পেটের সন্তানকে জীবিত বের করে আনতে সক্ষম হন। সদ্যজাত শিশুটির নাম রাখা হয় মালেক ইয়াসিন। পরে শিশুটিকে দেইর আল-বালাহর আল আকসা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে শিশুটিকে সেখানে একটি ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে।

ওই হাসপাতালের চিকিৎসক খলিল আল-দারকান বলেন, “খোদাকে ধন্যবাদ, শিশুটির জীবন রক্ষা পেয়েছে। সে এখন জীবিত এবং ভালো আছে। ” ইসরায়েলের ওই বিমান হামলায় একই পরিবারের বহু সদস্য নিহত হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে। তখন থেকে প্রতিদিনই গাজাজুড়ে এধরনের শোচনীয় ঘটনা ঘটছে। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় হামলায় নিহত মায়ের পেটে জীবন্ত শিশু!

আপডেট সময় : ১১:৪০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

ইসরায়েলি বিমান হামলায় নয় মাসের গর্ভবতী ওলা আল-কুর্দ মারা গেলেও বেঁচে গেছে তাঁর গর্ভের সন্তান। গাজার এ ঘটনাটিকে ‘অলৌকিক’ বলে মনে করছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

গত ১৯ জুলাই গাজার মধ্যাঞ্চলীয় আল-নুসেইরাতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় বেশ কিছু ঘরবাড়ি গুড়িয়ে যায়। ওই বিস্ফোরণে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ অনেকেই নিহত হন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ওলার শিশু সন্তান ও স্বামী বেঁচে যান। তারা দুজন এখন হাসপাতালে আছেন।

ওলার বাবা আদনান আল-কুর্দ জানান, “ওলা শহীদ হলেও ওর পেটের সন্তানটি বেঁচে ছিল, এটি একটি অলৌকিক ঘটনা। ”

বিমান হামলার পর ওলাকে প্রথমে নুসেইরাতের আল আওদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওলা মারা গেলেও হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁর পেটের সন্তানকে জীবিত বের করে আনতে সক্ষম হন। সদ্যজাত শিশুটির নাম রাখা হয় মালেক ইয়াসিন। পরে শিশুটিকে দেইর আল-বালাহর আল আকসা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে শিশুটিকে সেখানে একটি ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে।

ওই হাসপাতালের চিকিৎসক খলিল আল-দারকান বলেন, “খোদাকে ধন্যবাদ, শিশুটির জীবন রক্ষা পেয়েছে। সে এখন জীবিত এবং ভালো আছে। ” ইসরায়েলের ওই বিমান হামলায় একই পরিবারের বহু সদস্য নিহত হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে। তখন থেকে প্রতিদিনই গাজাজুড়ে এধরনের শোচনীয় ঘটনা ঘটছে। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স