ভারতের গণমাধ্যমের মিথ্যা খবরের প্রতিবাদ দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের
- আপডেট সময় : ০৫:১৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪
- / ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ভারতের সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এনইর অনলাইন ও এক্স অ্যাকউন্টে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন।
গত ২১ জুলাই ইন্ডিয়া টুডে এনই “Indian students flee Dhaka amid violent clashes, PM Sheikh Hasina airlifted” শিরোনামে একটি সংবাদ অনলাইনে প্রকাশের পাশাপাশি তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে এ সম্পর্কিত একটি পোস্ট করে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাঠানো এক প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, ‘আমরা ইন্ডিয়া টুডে এনইসহ সব সংবাদমাধ্যমকে সতর্ক থাকার এবং ইস্যুটির সংবেদনশীলতা বিবেচনায় বস্তুনিষ্ঠ ও ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিবেদন নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
গত ২২ জুলাই হাইকমিশনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে লিখিত প্রতিবাদ পাঠান মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ।
নিবন্ধটি বিভ্রান্তিকর তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। এক্স পোস্টে লেখা হয়েছে: ‘বিভিন্ন প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে, এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকায় তার বাসভবন থেকে হেলিকপ্টারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তার বর্তমান অবস্থান এখনো অজানা।’
বিবৃতিতে বলা হয়, যদিও ওই প্রতিবেদন ও পোস্ট কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তারপরও এর মাধ্যমে অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। দেশ-বিদেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তি ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
ওই প্রতিবাদের বলা হয়, ‘বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে এই ভুল সংবাদ ও পোস্টে আমি চরম হতাশা প্রকাশ করছি। আপনারা ভালো করেই জানেন, চলমান ছাত্র আন্দোলনের কারণে আমাদের দেশ একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’
হাইকমিশন বলেছে, ‘যেকোনো দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে এ ধরনের ভুল তথ্য ও গুজবনির্ভর সংবাদ জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে; এমনকি সংকটে ইন্ধন যোগাতে এবং পরিস্থিতিকে আরও বিশৃঙ্খল করে তুলতে পারে।’
অধিকন্তু, সংবেদনশীলতার বিষয় মাথায় না রেখে এ ধরনের প্রতিবেদন করা কেবল জনগণ ও সমাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না; বরং যেকোনো সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের বিষয়ে ২১ জুলাই ঐতিহাসিক রায় দেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরির কোটা বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
হাইকমিশন জানায়, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার জনগণ ও সম্পত্তির সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলে পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।