ঢাকা ০১:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আন্দোলনে আহতদের অনেকেই হারাতে পারেন দৃষ্টিশক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৫৬:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৭১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাম্প্রতিক নাশকতায় হতাহত হয়েছে অনেক। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটেই চিকিৎসা নিয়েছেন ৪২৯ জন। বেশিরভাগেরই চোখে গুলি লেগেছে। চিকিৎসকরা জানান, আহতদের অনেকে হারাতে পারেন দৃষ্টিশক্তি।

গত এক সপ্তাহ দুর্বৃত্তদের সহিংসতায় অনেকটাই অবরুদ্ধ ছিল রাজধানী। বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক নাশকতা চালায় সন্ত্রাসীরা। সংঘর্ষে প্রাণ হারান অনেকে, আহত হয় কয়েক শ মানুষ। ১৭ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত চোখে গুলি নিয়ে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪২৯ জন। এর মধ্যে ২৯১ জনের অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে।

হাসপাতালে আসা এক রোগীর ভাই বলেন, ‘আমার ভাই অসুস্থ, দুইটা চোখই হারাইছে। মাধবদীতে আমার ভাই ব্যবসা করত। সেখান থেকে আসার পথে রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়।’

চোখে গুলি নিয়ে হাসপাতালে আসা এক রোগী বলেন, ‘ডাক্তার দেখে বলল যে, বুলেট ভেতরে আছে চোখের পাপড়ির এই জায়গায়। আজকেও কয়েকটা পরীক্ষা নিয়েছে।’

চিকিৎসকেরা বলছেন, আহতদের অনেকে হারাতে পারেন দৃষ্টিশক্তি। ৬ সপ্তাহ পর জানা যাবে তাদের অবস্থা।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যাদের (চোখে) কাছে থেকে লেগেছে (গুলি), তাদের ইনজুরি বেশি। আর যাদের দূরে থেকে লেগেছে তাদের হালকা। অনেকের আইবল আমরা রিপেয়ার করেছি। কেউ কেউ দৃষ্টিশক্তি হারাবে, কারো আংশিক, কারো পুরো।’

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ছাড়াও আহতদের অনেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আন্দোলনে আহতদের অনেকেই হারাতে পারেন দৃষ্টিশক্তি

আপডেট সময় : ১০:৫৬:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

সাম্প্রতিক নাশকতায় হতাহত হয়েছে অনেক। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটেই চিকিৎসা নিয়েছেন ৪২৯ জন। বেশিরভাগেরই চোখে গুলি লেগেছে। চিকিৎসকরা জানান, আহতদের অনেকে হারাতে পারেন দৃষ্টিশক্তি।

গত এক সপ্তাহ দুর্বৃত্তদের সহিংসতায় অনেকটাই অবরুদ্ধ ছিল রাজধানী। বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক নাশকতা চালায় সন্ত্রাসীরা। সংঘর্ষে প্রাণ হারান অনেকে, আহত হয় কয়েক শ মানুষ। ১৭ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত চোখে গুলি নিয়ে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪২৯ জন। এর মধ্যে ২৯১ জনের অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে।

হাসপাতালে আসা এক রোগীর ভাই বলেন, ‘আমার ভাই অসুস্থ, দুইটা চোখই হারাইছে। মাধবদীতে আমার ভাই ব্যবসা করত। সেখান থেকে আসার পথে রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়।’

চোখে গুলি নিয়ে হাসপাতালে আসা এক রোগী বলেন, ‘ডাক্তার দেখে বলল যে, বুলেট ভেতরে আছে চোখের পাপড়ির এই জায়গায়। আজকেও কয়েকটা পরীক্ষা নিয়েছে।’

চিকিৎসকেরা বলছেন, আহতদের অনেকে হারাতে পারেন দৃষ্টিশক্তি। ৬ সপ্তাহ পর জানা যাবে তাদের অবস্থা।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘যাদের (চোখে) কাছে থেকে লেগেছে (গুলি), তাদের ইনজুরি বেশি। আর যাদের দূরে থেকে লেগেছে তাদের হালকা। অনেকের আইবল আমরা রিপেয়ার করেছি। কেউ কেউ দৃষ্টিশক্তি হারাবে, কারো আংশিক, কারো পুরো।’

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ছাড়াও আহতদের অনেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে।