০১:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করে প্রচারে নামছেন ওবামা?

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটির পার্টির প্রার্থী ও দেশটির বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের পক্ষে প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষ জনপ্রিয় নেতা বারাক ওবামা। মার্কিন সংবাদাম্যধম এনবিসি নিউজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওবামা ব্যক্তিগতভাবে ডেমোক্রেটিক পার্টির নতুন প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে সম্পূর্ণ সমর্থন করছেন এবং নিয়মিত তাদের যোগাযোগ হচ্ছে। এছাড়া ইতোমধ্যে ওবামার ব্যক্তিগত সংস্থা দ্য ওবামা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কমালা হ্যারিসের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে উভয়পক্ষ এই মর্মে একমত হয়েছেন যে সামনের দিনের প্রচারাভিযানে কমলার সঙ্গে থাকবেন ওবামা।

এ ইস্যুতে আরও বিস্তারিত জানতে ওবামা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে ফাউন্ডেশনের কোনো মুখপাত্র এ ইস্যুতে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসকে ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেক নেতা সমর্থন জানালেও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সমর্থন দেননি। তিনি মনে করেন, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করার মতো সক্ষমতা কমলা হ্যারিসের নেই।

একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট প্রার্থীতার দৌড়ে কমলা হ্যারিস এগিয়ে যাওয়ায় বারাক ওবামা হতাশ হয়েছেন। তিনি মনে করেন, কমলা হ্যারিস কোনোভাবেই জয়ী হতে পারবেন না।’

সূত্রটি আরও বলেন, ‘ওবামা বলেছেন যে, কমলা হ্যারিস কখনো সীমান্ত পরিদর্শন করেননি। অভিবাসী সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণা নেই। অভিবাসীদের স্বাস্থ্যবীমা থাকা উচিত, তা তিনি জানেনই না। এসব ছাড়াও তাঁর আরও অনেক অযোগ্যতা রয়েছে।’

সূত্রটি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেন, ‘ওবামা মনেপ্রাণে চাইছিলেন, জো বাইডেন নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ান। এ জন্য তিনি হলিউড অভিনেকা জর্জ ক্লুনিকে দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যমগুলোতে একটি নিবন্ধও লিখিয়েছিলেন। এসবই ছিল বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ।’

আগামী মাসে ডেমোক্রেটিক পার্টির ন্যাশনাল কনভেনশন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কনভেনশনে অ্যারিজোনার সিনেটর মার্ক কেলিকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেবেন বলে মনস্থির করেছিলেন বারাক ওবামা। তবে এরইমধ্যে বেশির বেশিরভাগ ডেমোক্রেটিক নেতা কমলা হ্যারিসের প্রতি সমর্থন জানানোয় ওবামা বেশ ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেন, ক্ষুব্ধ ওবামা সম্ভবত ন্যাশনাল কনভেনশনে যোগ দেবেন না।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে একজন নাগরিক সর্বোচ্চ দু’বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এখন পর্যন্ত বারাক ওবামা হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের শেষ প্রেসিডেন্ট, যিনি পরপর দু’বার (২০০৮ সাল এবং ২০১২ সাল) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবং জয়ী হয়েছেন।

যে আট বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ওবামা, সে সময় দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী এবং পূর্বসূরী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট হন বাইডেন।

আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে যুক্তরাষ্ট্রে। এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ছিলেন জো বাইডেন। তবে বয়সজনিত কারণে ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেক সদস্যই চাইছিলেন— বাইডেন যেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এ নিয়ে কয়েক মাস দলের ভেতর টানাপোড়েন চলার পর ২১ জুলাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বাইডেন এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসের নাম প্রস্তাব করেন। তার সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে ডেমোক্রেটিক পার্টি। সূত্র : রয়টার্স

কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করে প্রচারে নামছেন ওবামা?

আপডেট : ০৪:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটির পার্টির প্রার্থী ও দেশটির বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের পক্ষে প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষ জনপ্রিয় নেতা বারাক ওবামা। মার্কিন সংবাদাম্যধম এনবিসি নিউজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওবামা ব্যক্তিগতভাবে ডেমোক্রেটিক পার্টির নতুন প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে সম্পূর্ণ সমর্থন করছেন এবং নিয়মিত তাদের যোগাযোগ হচ্ছে। এছাড়া ইতোমধ্যে ওবামার ব্যক্তিগত সংস্থা দ্য ওবামা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কমালা হ্যারিসের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে উভয়পক্ষ এই মর্মে একমত হয়েছেন যে সামনের দিনের প্রচারাভিযানে কমলার সঙ্গে থাকবেন ওবামা।

এ ইস্যুতে আরও বিস্তারিত জানতে ওবামা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে ফাউন্ডেশনের কোনো মুখপাত্র এ ইস্যুতে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসকে ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেক নেতা সমর্থন জানালেও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সমর্থন দেননি। তিনি মনে করেন, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করার মতো সক্ষমতা কমলা হ্যারিসের নেই।

একটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট প্রার্থীতার দৌড়ে কমলা হ্যারিস এগিয়ে যাওয়ায় বারাক ওবামা হতাশ হয়েছেন। তিনি মনে করেন, কমলা হ্যারিস কোনোভাবেই জয়ী হতে পারবেন না।’

সূত্রটি আরও বলেন, ‘ওবামা বলেছেন যে, কমলা হ্যারিস কখনো সীমান্ত পরিদর্শন করেননি। অভিবাসী সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণা নেই। অভিবাসীদের স্বাস্থ্যবীমা থাকা উচিত, তা তিনি জানেনই না। এসব ছাড়াও তাঁর আরও অনেক অযোগ্যতা রয়েছে।’

সূত্রটি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেন, ‘ওবামা মনেপ্রাণে চাইছিলেন, জো বাইডেন নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ান। এ জন্য তিনি হলিউড অভিনেকা জর্জ ক্লুনিকে দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যমগুলোতে একটি নিবন্ধও লিখিয়েছিলেন। এসবই ছিল বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ।’

আগামী মাসে ডেমোক্রেটিক পার্টির ন্যাশনাল কনভেনশন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কনভেনশনে অ্যারিজোনার সিনেটর মার্ক কেলিকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেবেন বলে মনস্থির করেছিলেন বারাক ওবামা। তবে এরইমধ্যে বেশির বেশিরভাগ ডেমোক্রেটিক নেতা কমলা হ্যারিসের প্রতি সমর্থন জানানোয় ওবামা বেশ ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেন, ক্ষুব্ধ ওবামা সম্ভবত ন্যাশনাল কনভেনশনে যোগ দেবেন না।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে একজন নাগরিক সর্বোচ্চ দু’বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এখন পর্যন্ত বারাক ওবামা হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের শেষ প্রেসিডেন্ট, যিনি পরপর দু’বার (২০০৮ সাল এবং ২০১২ সাল) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবং জয়ী হয়েছেন।

যে আট বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ওবামা, সে সময় দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী এবং পূর্বসূরী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট হন বাইডেন।

আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে যুক্তরাষ্ট্রে। এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ছিলেন জো বাইডেন। তবে বয়সজনিত কারণে ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেক সদস্যই চাইছিলেন— বাইডেন যেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এ নিয়ে কয়েক মাস দলের ভেতর টানাপোড়েন চলার পর ২১ জুলাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বাইডেন এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসের নাম প্রস্তাব করেন। তার সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে ডেমোক্রেটিক পার্টি। সূত্র : রয়টার্স