০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রলীগ-পুলিশ হত্যায় পুরস্কার ঘোষণা করে নাশকতাকারীরা: ডিবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে নাশকতার সঙ্গে জড়িত দুই হাজার ৫০০ জনের বেশি অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানিয়েছে, জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ক্যাডারদের সহায়তায় টাকার বিনিময়ে টোকাই ও ছিন্নমূল শ্রেণির লোকদের ছাত্রদের মিছিলে ঢুকিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।

আন্দোলন চলাকালে নাশকতায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে ‘ব্লকড রেইড’ অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পৃথক এসব অভিযানে গ্রেপ্তারদের একজন মো. আব্দুল আজিজ ওরফে সুলতান। ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজ বগুড়ার যুবদল নেতা নুরে আলম সিদ্দিকি পিটনের দুলাভাই। পুলিশ মারলে ১০ হাজার ও ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকা দেয়া হবে, নূরে আলম যুক্তরাজ্য থেকে এমন নির্দেশনা পেলে তা বাস্তবায়নে মাঠের দায়িত্ব পান আব্দুল আজিজ।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজ ছাত্রদের মিছিলের ভেতর টাকার বিনিময়ে টোকাই ও ছিন্নমূল শ্রেণির মানুষদের ঢুকিয়ে দেশব্যাপী হত্যা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ধ্বংসযজ্ঞ চালান। তার এ কাজে সহায়তা করে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ক্যাডাররা।

হারুন অর রশিদ জানান, সরকার পতনের আন্দোলন বাস্তবায়নের জন্য টোকাই ও ছিন্নমূল শ্রেণির মানুষদের দিয়ে একজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে মারলে ৫ হাজার টাকা ও প্রতিজন পুলিশ সদস্যকে মারার বিনিময়ে ১০ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজ। এ কাজ বাস্তবায়নে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ক্যাডারদেরও নির্দেশনা দেন তিনি। এর অংশ হিসেবে গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় রাজধানীর উত্তরা ও আব্দুল্লাহপুরসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

ডিএমপির এই অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, তারা ভেবেছিল পুলিশের মনোবল ভেঙে দিতে পারলে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ষড়যন্ত্র সফল হবে। একই মানসিকতা নিয়ে গত বছরের ২৮ অক্টোবরও পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছিল। ওই সময় এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সেই সঙ্গে পুলিশ হাসপাতাল ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় স্বাধীনতা বিরোধী চক্রটি আবারও পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ-হামলা ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ছাত্রলীগ-পুলিশ হত্যায় পুরস্কার ঘোষণা করে নাশকতাকারীরা: ডিবি

আপডেট : ০৮:৩৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে নাশকতার সঙ্গে জড়িত দুই হাজার ৫০০ জনের বেশি অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানিয়েছে, জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ক্যাডারদের সহায়তায় টাকার বিনিময়ে টোকাই ও ছিন্নমূল শ্রেণির লোকদের ছাত্রদের মিছিলে ঢুকিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।

আন্দোলন চলাকালে নাশকতায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে ‘ব্লকড রেইড’ অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পৃথক এসব অভিযানে গ্রেপ্তারদের একজন মো. আব্দুল আজিজ ওরফে সুলতান। ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজ বগুড়ার যুবদল নেতা নুরে আলম সিদ্দিকি পিটনের দুলাভাই। পুলিশ মারলে ১০ হাজার ও ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকা দেয়া হবে, নূরে আলম যুক্তরাজ্য থেকে এমন নির্দেশনা পেলে তা বাস্তবায়নে মাঠের দায়িত্ব পান আব্দুল আজিজ।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজ ছাত্রদের মিছিলের ভেতর টাকার বিনিময়ে টোকাই ও ছিন্নমূল শ্রেণির মানুষদের ঢুকিয়ে দেশব্যাপী হত্যা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ধ্বংসযজ্ঞ চালান। তার এ কাজে সহায়তা করে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ক্যাডাররা।

হারুন অর রশিদ জানান, সরকার পতনের আন্দোলন বাস্তবায়নের জন্য টোকাই ও ছিন্নমূল শ্রেণির মানুষদের দিয়ে একজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে মারলে ৫ হাজার টাকা ও প্রতিজন পুলিশ সদস্যকে মারার বিনিময়ে ১০ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজ। এ কাজ বাস্তবায়নে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ক্যাডারদেরও নির্দেশনা দেন তিনি। এর অংশ হিসেবে গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় রাজধানীর উত্তরা ও আব্দুল্লাহপুরসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

ডিএমপির এই অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, তারা ভেবেছিল পুলিশের মনোবল ভেঙে দিতে পারলে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ষড়যন্ত্র সফল হবে। একই মানসিকতা নিয়ে গত বছরের ২৮ অক্টোবরও পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছিল। ওই সময় এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সেই সঙ্গে পুলিশ হাসপাতাল ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় স্বাধীনতা বিরোধী চক্রটি আবারও পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ-হামলা ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।