০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে

আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। যুক্তরাষ্ট্রের মজুত কমে যাওয়া ও কানাডায় দাবানলের কারণে সরবরাহ ঝুঁকিতে পড়ায় জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের সরবরাহ চুক্তির তুলনায় গতকাল আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ বেন্টে জ্বালানি তেলের দাম ৩৭ সেন্ট বা দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। ব্যারেলপ্রতি মূল্য পৌঁছেছে ৮১ ডলার ৩৮ সেন্টে।

অন্যদিকে আদর্শ টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম আগের দিনের তুলনায় ৩৮ সেন্ট বা দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৭ ডলার ৩৪ সেন্টে।

গত সপ্তাহেও আমেরিকায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল, পেট্রল ও ডিস্টিলেটসের মজুত টানা চতুর্থবারের মতো কমেছে বলে জানিয়েছে বাজারসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের (এপিআই) বরাত দিয়ে ওই সূত্রটি জানায়, ১৯ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে আমেরিকায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ কমেছে ৩৯ লাখ ব্যারেল, পেট্রল ২৮ লাখ ব্যারেল ও ডিস্টিলেটস ১৫ লাখ ব্যারেল।

এদিকে কানাডায় দাবানলের কারণেও জ্বালানি তেলের সরবরাহ ঝুঁকিতে পড়েছে এবং সে কারণেও তেলের দাম বেড়েছে বলে মনে করছেন এলএনজি বিশ্লেষকরা। বেশ কয়েকজন বিশ্লেষক রয়টার্সকে বলেন, ‘দাবানলের কারণে কানাডার কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পর্যাপ্ত তেল উত্তোলন করতে পারেনি। এ কারণে সরবরাহ ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক পরিষেবা সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাকস বলেছিল, কানাডার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন এখনো অনেকাংশে স্থিতিশীল। তবে দাবানলের কারণে উত্তোলন কমার ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।

তবে গত মাসে ওপেক প্লাসের বেঁধে দেয়া কোটার কাছাকাছি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করেছে রাশিয়া। রুশ বার্তা সংস্থা তাস বলেছে, রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ‌অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলনে ওপেক প্লাসের বেঁধে দেওয়া কোটার প্রায় কাছাকাছি পৌঁছেছি। তবে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারিনি।’

জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে

আপডেট : ০৪:৪০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। যুক্তরাষ্ট্রের মজুত কমে যাওয়া ও কানাডায় দাবানলের কারণে সরবরাহ ঝুঁকিতে পড়ায় জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের সরবরাহ চুক্তির তুলনায় গতকাল আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ বেন্টে জ্বালানি তেলের দাম ৩৭ সেন্ট বা দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। ব্যারেলপ্রতি মূল্য পৌঁছেছে ৮১ ডলার ৩৮ সেন্টে।

অন্যদিকে আদর্শ টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম আগের দিনের তুলনায় ৩৮ সেন্ট বা দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৭ ডলার ৩৪ সেন্টে।

গত সপ্তাহেও আমেরিকায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল, পেট্রল ও ডিস্টিলেটসের মজুত টানা চতুর্থবারের মতো কমেছে বলে জানিয়েছে বাজারসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের (এপিআই) বরাত দিয়ে ওই সূত্রটি জানায়, ১৯ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে আমেরিকায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ কমেছে ৩৯ লাখ ব্যারেল, পেট্রল ২৮ লাখ ব্যারেল ও ডিস্টিলেটস ১৫ লাখ ব্যারেল।

এদিকে কানাডায় দাবানলের কারণেও জ্বালানি তেলের সরবরাহ ঝুঁকিতে পড়েছে এবং সে কারণেও তেলের দাম বেড়েছে বলে মনে করছেন এলএনজি বিশ্লেষকরা। বেশ কয়েকজন বিশ্লেষক রয়টার্সকে বলেন, ‘দাবানলের কারণে কানাডার কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পর্যাপ্ত তেল উত্তোলন করতে পারেনি। এ কারণে সরবরাহ ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক পরিষেবা সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাকস বলেছিল, কানাডার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন এখনো অনেকাংশে স্থিতিশীল। তবে দাবানলের কারণে উত্তোলন কমার ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।

তবে গত মাসে ওপেক প্লাসের বেঁধে দেয়া কোটার কাছাকাছি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করেছে রাশিয়া। রুশ বার্তা সংস্থা তাস বলেছে, রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ‌অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলনে ওপেক প্লাসের বেঁধে দেওয়া কোটার প্রায় কাছাকাছি পৌঁছেছি। তবে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারিনি।’