ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

পাপুয়া নিউগিনিতে হামলায় ১৬ শিশুসহ নিহত ২৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪
  • / ৪২৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাপুয়া নিউগিনির উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত তিনটি গ্রামে সহিংস হামলায় ১৬ শিশুসহ অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে অনেকে। হামলাকারীরা ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার পর বহু বাসিন্দা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। জাতিসংঘের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান ভলকার টার্ক বলেন, ‘পাপুয়া নিউগিনিতে প্রাণঘাতী সহিংসতা শুরু হওয়ায় আমি আতঙ্কিত। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এটি ভূমি এবং লেকের মালিকানা ও ভোগ করা নিয়ে বিরোধের ফল।’

গত ১৬ ও ১৮ জুলাই পাপুয়া নিউগিনির ইস্ট সেপিক প্রদেশে এসব হামলা হয়। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার পর গ্রামগুলোর দুই শতাধিক বাসিন্দা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। অনেকের সন্ধান মিলছে না। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। মৃতের সংখ্যা অর্ধশত ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পাপুয়া নিউগিনিতে বহুসংখ্যক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও ভাষাবাসীর জনগোষ্ঠীর বসবাস। এসব জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। গত দশকে তীর ও ধনুকের বদলে সংঘাতে সামরিক রাইফেল ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। এতে সহিংসতা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

গেল মে মাসে এনগা প্রদেশে এ ধরনের সংঘাতে চলাকালে অন্তত ৮ জন নিহত ও ৩০টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে এই প্রদেশের দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে সংঘাতে অর্ধ শতাধিক মানুষ নিহত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাপুয়া নিউগিনিতে হামলায় ১৬ শিশুসহ নিহত ২৬

আপডেট সময় : ০৪:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

পাপুয়া নিউগিনির উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত তিনটি গ্রামে সহিংস হামলায় ১৬ শিশুসহ অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে অনেকে। হামলাকারীরা ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার পর বহু বাসিন্দা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। জাতিসংঘের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান ভলকার টার্ক বলেন, ‘পাপুয়া নিউগিনিতে প্রাণঘাতী সহিংসতা শুরু হওয়ায় আমি আতঙ্কিত। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এটি ভূমি এবং লেকের মালিকানা ও ভোগ করা নিয়ে বিরোধের ফল।’

গত ১৬ ও ১৮ জুলাই পাপুয়া নিউগিনির ইস্ট সেপিক প্রদেশে এসব হামলা হয়। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার পর গ্রামগুলোর দুই শতাধিক বাসিন্দা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। অনেকের সন্ধান মিলছে না। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। মৃতের সংখ্যা অর্ধশত ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পাপুয়া নিউগিনিতে বহুসংখ্যক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও ভাষাবাসীর জনগোষ্ঠীর বসবাস। এসব জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। গত দশকে তীর ও ধনুকের বদলে সংঘাতে সামরিক রাইফেল ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। এতে সহিংসতা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

গেল মে মাসে এনগা প্রদেশে এ ধরনের সংঘাতে চলাকালে অন্তত ৮ জন নিহত ও ৩০টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে এই প্রদেশের দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে সংঘাতে অর্ধ শতাধিক মানুষ নিহত হয়।