০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি-জামায়াত ঘাপটি মেরে আছে: কাদের

কারফিউর মধ্যে আপাতত দেশের পরিস্থিতি শান্ত হলেও, বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীরা ঘাপটি মেরে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেন, তারা দেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ করার পরিকল্পনা করছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দলের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে উত্তর আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় নাশকতাকারীদের পরিকল্পনা প্রতিহত করতে দলের নেতাকর্মীদের নিজ নিজ থানায় সতর্ক অবস্থানে থাকার আহ্বান জানান। এসময় তিনি বলেন, সহিংসতায় নিহত পরিবারের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করছেন দাবি করে কাদের বলেন, তারা লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা নিতে চায়। তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশ ধ্বংসের পরামর্শ দিচ্ছে বলেও দাবি করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে, আন্দোলনকারীরা ঘাপটি মেরে বসে আছে। বিএনপি বেছে বেছে নতুন নেতৃত্বের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের পদায়ন করেছে। (কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে) এই হামলা পরিচালনার জন্য তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে নিয়োগ করা হয়েছে; কোথায় কে হামলা চালাবে, কোথায় কারা পেছন থেকে সহযোগিতা করবে সবকিছু আগেভাগে নীলনকশা প্রস্তুত ছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোটা নিয়ে একদিনের জন্যও আন্দোলন হয়নি। তবে কেন হঠাৎ করে এ মরণপণ আন্দোলন। এ আন্দোলনের কুশীলব তারেক জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের দোসররা এ হামলা চালিয়েছে। এ আন্দোলন যতক্ষণ শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল, ততক্ষণ কোনো সহিংসতা বাংলাদেশে হয়নি। পুলিশও সহনশীল ভূমিকা পালন করেছে। সব পক্ষ ধৈর্য ধরেছে।

তিনি বলেন, এ আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। তাদের এ হামলা পুরো পূর্বপরিকল্পিত। কোথায় কোথায় হামলা করবে, আগে থেকে তারা নীলনকশা তৈরি করেছে এবং তার মহড়া দিয়েছে মাসের পর মাস ধরে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের সেই ২০১৩, ১৪ এবং ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসীদেরকে ঢাকায় এনে তাণ্ডব শুরু করেছে।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের মেগা উন্নয়ন মেট্রোরেল, সেতুভবন ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এগুলো দেখলে বোঝা যায় কারা এসব করেছে। যারা সরকারের উন্নয়ন দেখতে চায় না তারাই করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশের শান্তি স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী, উন্নয়নবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।

দেশবাসীকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, গুজব একটি সন্ত্রাস। মাদকের মতো গুজব আপনার সন্তানকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিতে পারে। কাজেই এই গুজব-গুঞ্জন প্রতিরোধ করতে হবে।

বিএনপি-জামায়াত ঘাপটি মেরে আছে: কাদের

আপডেট : ০৪:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

কারফিউর মধ্যে আপাতত দেশের পরিস্থিতি শান্ত হলেও, বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীরা ঘাপটি মেরে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেন, তারা দেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ করার পরিকল্পনা করছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দলের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে উত্তর আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় নাশকতাকারীদের পরিকল্পনা প্রতিহত করতে দলের নেতাকর্মীদের নিজ নিজ থানায় সতর্ক অবস্থানে থাকার আহ্বান জানান। এসময় তিনি বলেন, সহিংসতায় নিহত পরিবারের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করছেন দাবি করে কাদের বলেন, তারা লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা নিতে চায়। তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশ ধ্বংসের পরামর্শ দিচ্ছে বলেও দাবি করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে, আন্দোলনকারীরা ঘাপটি মেরে বসে আছে। বিএনপি বেছে বেছে নতুন নেতৃত্বের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের পদায়ন করেছে। (কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে) এই হামলা পরিচালনার জন্য তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে নিয়োগ করা হয়েছে; কোথায় কে হামলা চালাবে, কোথায় কারা পেছন থেকে সহযোগিতা করবে সবকিছু আগেভাগে নীলনকশা প্রস্তুত ছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোটা নিয়ে একদিনের জন্যও আন্দোলন হয়নি। তবে কেন হঠাৎ করে এ মরণপণ আন্দোলন। এ আন্দোলনের কুশীলব তারেক জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের দোসররা এ হামলা চালিয়েছে। এ আন্দোলন যতক্ষণ শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল, ততক্ষণ কোনো সহিংসতা বাংলাদেশে হয়নি। পুলিশও সহনশীল ভূমিকা পালন করেছে। সব পক্ষ ধৈর্য ধরেছে।

তিনি বলেন, এ আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। তাদের এ হামলা পুরো পূর্বপরিকল্পিত। কোথায় কোথায় হামলা করবে, আগে থেকে তারা নীলনকশা তৈরি করেছে এবং তার মহড়া দিয়েছে মাসের পর মাস ধরে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের সেই ২০১৩, ১৪ এবং ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসীদেরকে ঢাকায় এনে তাণ্ডব শুরু করেছে।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের মেগা উন্নয়ন মেট্রোরেল, সেতুভবন ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এগুলো দেখলে বোঝা যায় কারা এসব করেছে। যারা সরকারের উন্নয়ন দেখতে চায় না তারাই করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশের শান্তি স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী, উন্নয়নবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।

দেশবাসীকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, গুজব একটি সন্ত্রাস। মাদকের মতো গুজব আপনার সন্তানকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিতে পারে। কাজেই এই গুজব-গুঞ্জন প্রতিরোধ করতে হবে।