ঢাকা ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মারা গেছেন ব্যান্ড তারকা ও সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ

বিনোদন প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪
  • / ৪১১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্যান্ড তারকা ও সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ আর নেই। আমেরিকার ভার্জিনিয়ার সেন্টারা হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় আজ (২৫ জুলাই) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি… রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর ভাই হামিন আহমেদ। শাফিনের ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।

হামিন আহমেদ বলেন, ‘হয়তো বেশ চাপ গেছে শাফিনের ওপর দিয়ে। ২০ জুলাই ভার্জিনিয়াতে তাঁর একটা কনসার্ট ছিল। শোয়ের আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শো’টা ক্যানসেল করেন শাফিন। সেদিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাঁর নানা অর্গান অকার্যকর হতে থাকলে তাকে লাইফ সাপোর্টেও নেওয়া হয়। এরপর শাফিনকে আর ফেরানো গেল না।’

হামিন জানান, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের দুই কাজিন আছেন। তাঁরা আপাতত শাফিনের বিষয়টি দেখভাল করছেন। দ্রুতই ঢাকা থেকে আমেরিকা রওনা হবেন হামিন। এরপর বাংলা ব্যান্ডের এই কিংবদন্তি গায়কের মরদেহ দেশে ফেরানো হবে।

এদিকে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাফিন আহমেদের এক ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ভার্জিনিয়ার একটি হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশের ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন l ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না-লিল্লাহি রাজিউন। আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুক।’

উল্লেখ্য, শাফিন আহমেদের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। শাফিন আহমেদের মা নজরুলসংগীতের মহাতারকা ফিরোজা বেগম এবং বাবা আরেক কিংবদন্তি সুরকার কমল দাশগুপ্ত। এই পরিবারে জন্ম নেওয়ার সুবাদে শাফিন ছোটবেলা থেকেই গানের মধ্যে বড় হয়েছেন । বাবার কাছে যেমন উচ্চাঙ্গ সংগীত মাঝে মাঝে শিখেছেন তেমনি মার কাছে শিখেছেন নজরুলসংগীত। এরপর বিদেশে পড়াশোনার কারণে পাশ্চাত্যর সংস্পর্শে এসে তাঁর ব্যান্ড সংগীতের শুরু।

১৯৭৯ সালে শাফিন আহমেদ গড়ে তোলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা জনপ্রিয় ব্যান্ড দল মাইলস। ১৯৮২ সালে প্রথম অ্যালবাম “মাইলস” এবং ১৯৮৬ সালে “স্টেপ ফাদার” দিয়ে মাইলসের নিজস্ব গান বাজারে আসে। এরপর ১৯৯১ সালে রিলিজ হয় প্রথম বাংলা অ্যালবাম “প্রতিশ্রুতি” এই অ্যালবামের চাদ-তারা গানটি তখন বিপুল জনপ্রিয়তা পায়।

সেই থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত শত শত শ্রোতপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন উপমহাদেশের এই অন্যতম সংগীত তারকা। চাঁদ তারা সূর্য, দরদিয়া, প্রথম প্রেমের মত, জাদু,কতকাল খুঁজবো তোমায়, ধি কি ধি কি, পাহাড়ী মেয়ে, পিয়াসি মন, জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন, জ্বালা জ্বালা, ফিরিয়ে দাও এর মত তুমলু জনপ্রিয় গানগুলি আজও শ্রোতাপ্রিয়।

অন্যদিকে, সংগীতের পাশাপাশি শেষ দিকে এসে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন এ গায়ক। ২০১৭ সালে তিনি জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে (এনডিএম) যোগ দেন। এরপর ২০১৮ সালে জাতীয় পার্টিতে যুক্ত হন। দুই দলেই গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন শাফিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মারা গেছেন ব্যান্ড তারকা ও সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ

আপডেট সময় : ১০:৩৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

ব্যান্ড তারকা ও সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ আর নেই। আমেরিকার ভার্জিনিয়ার সেন্টারা হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় আজ (২৫ জুলাই) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি… রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর ভাই হামিন আহমেদ। শাফিনের ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।

হামিন আহমেদ বলেন, ‘হয়তো বেশ চাপ গেছে শাফিনের ওপর দিয়ে। ২০ জুলাই ভার্জিনিয়াতে তাঁর একটা কনসার্ট ছিল। শোয়ের আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শো’টা ক্যানসেল করেন শাফিন। সেদিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাঁর নানা অর্গান অকার্যকর হতে থাকলে তাকে লাইফ সাপোর্টেও নেওয়া হয়। এরপর শাফিনকে আর ফেরানো গেল না।’

হামিন জানান, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের দুই কাজিন আছেন। তাঁরা আপাতত শাফিনের বিষয়টি দেখভাল করছেন। দ্রুতই ঢাকা থেকে আমেরিকা রওনা হবেন হামিন। এরপর বাংলা ব্যান্ডের এই কিংবদন্তি গায়কের মরদেহ দেশে ফেরানো হবে।

এদিকে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাফিন আহমেদের এক ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ভার্জিনিয়ার একটি হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশের ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন l ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না-লিল্লাহি রাজিউন। আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুক।’

উল্লেখ্য, শাফিন আহমেদের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। শাফিন আহমেদের মা নজরুলসংগীতের মহাতারকা ফিরোজা বেগম এবং বাবা আরেক কিংবদন্তি সুরকার কমল দাশগুপ্ত। এই পরিবারে জন্ম নেওয়ার সুবাদে শাফিন ছোটবেলা থেকেই গানের মধ্যে বড় হয়েছেন । বাবার কাছে যেমন উচ্চাঙ্গ সংগীত মাঝে মাঝে শিখেছেন তেমনি মার কাছে শিখেছেন নজরুলসংগীত। এরপর বিদেশে পড়াশোনার কারণে পাশ্চাত্যর সংস্পর্শে এসে তাঁর ব্যান্ড সংগীতের শুরু।

১৯৭৯ সালে শাফিন আহমেদ গড়ে তোলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা জনপ্রিয় ব্যান্ড দল মাইলস। ১৯৮২ সালে প্রথম অ্যালবাম “মাইলস” এবং ১৯৮৬ সালে “স্টেপ ফাদার” দিয়ে মাইলসের নিজস্ব গান বাজারে আসে। এরপর ১৯৯১ সালে রিলিজ হয় প্রথম বাংলা অ্যালবাম “প্রতিশ্রুতি” এই অ্যালবামের চাদ-তারা গানটি তখন বিপুল জনপ্রিয়তা পায়।

সেই থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত শত শত শ্রোতপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন উপমহাদেশের এই অন্যতম সংগীত তারকা। চাঁদ তারা সূর্য, দরদিয়া, প্রথম প্রেমের মত, জাদু,কতকাল খুঁজবো তোমায়, ধি কি ধি কি, পাহাড়ী মেয়ে, পিয়াসি মন, জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন, জ্বালা জ্বালা, ফিরিয়ে দাও এর মত তুমলু জনপ্রিয় গানগুলি আজও শ্রোতাপ্রিয়।

অন্যদিকে, সংগীতের পাশাপাশি শেষ দিকে এসে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন এ গায়ক। ২০১৭ সালে তিনি জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে (এনডিএম) যোগ দেন। এরপর ২০১৮ সালে জাতীয় পার্টিতে যুক্ত হন। দুই দলেই গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন শাফিন।