ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মৌরিতানিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, নিহত ১৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৭৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মৌরিতানিয়া উপকূলে নৌকাডুবে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১৫০ জন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বরাত দিয়ে এ সব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গতকাল বুধবার জাতিসংঘের অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা আইওএম এক বিবৃতিতে জানায়, আফ্রিকার একটি দেশ মউরিতানিয়ার রাজধানী নোয়াকচটের পার্শ্ববর্তী উপকূলীয় এলাকায় গত ২২ জুলাই একটি নৌকা ডুবে যায়। ৩০০ যাত্রী নিয়ে নৌকাটি প্রায় সাত দিন সমুদ্রে ভেসে থাকার পর ডুবে যায়। এখন পর্যন্ত ১২০ জনকে জীবীত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে এখনো উদ্ধারকাজ অব্যাহত হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জীবীত উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে।

এদিকে বার্ত সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত দুই দিনে নোয়াকচটের উপকূলীয় এলাকা থেকে অন্তত ৩০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী ইব্বা সার রয়টার্সকে বলেন, ‘এখনো মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে। মরদেহের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’

ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে বহু মানুষ ছোট ছোট নৌকায় আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেয়। তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ এ যাত্রাপথে নৌকা ডুবে প্রতি বছর বহু মানুষ প্রাণ হারায়।

রয়টার্স বলছে, আফ্রিকা থেকে সমুদ্রপথে ইউরোপে যাওয়ার জন্য মৌরিতানিয়া উপকূল একটি বড় রুট। গ্রীষ্মকাল শুরু হলেই এই রুটে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল নামে।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত এই পথ পাড়ি দিয়ে ১৯ হাজার ৭০০ মানুষ ক্যানারি দ্বীপে পৌঁছায়। এছাড়া গত পাঁচ মাসে এই পথে সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মৌরিতানিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, নিহত ১৫

আপডেট সময় : ১১:২৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

মৌরিতানিয়া উপকূলে নৌকাডুবে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১৫০ জন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বরাত দিয়ে এ সব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গতকাল বুধবার জাতিসংঘের অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা আইওএম এক বিবৃতিতে জানায়, আফ্রিকার একটি দেশ মউরিতানিয়ার রাজধানী নোয়াকচটের পার্শ্ববর্তী উপকূলীয় এলাকায় গত ২২ জুলাই একটি নৌকা ডুবে যায়। ৩০০ যাত্রী নিয়ে নৌকাটি প্রায় সাত দিন সমুদ্রে ভেসে থাকার পর ডুবে যায়। এখন পর্যন্ত ১২০ জনকে জীবীত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে এখনো উদ্ধারকাজ অব্যাহত হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জীবীত উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে।

এদিকে বার্ত সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত দুই দিনে নোয়াকচটের উপকূলীয় এলাকা থেকে অন্তত ৩০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী ইব্বা সার রয়টার্সকে বলেন, ‘এখনো মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে। মরদেহের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’

ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে বহু মানুষ ছোট ছোট নৌকায় আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেয়। তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ এ যাত্রাপথে নৌকা ডুবে প্রতি বছর বহু মানুষ প্রাণ হারায়।

রয়টার্স বলছে, আফ্রিকা থেকে সমুদ্রপথে ইউরোপে যাওয়ার জন্য মৌরিতানিয়া উপকূল একটি বড় রুট। গ্রীষ্মকাল শুরু হলেই এই রুটে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল নামে।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত এই পথ পাড়ি দিয়ে ১৯ হাজার ৭০০ মানুষ ক্যানারি দ্বীপে পৌঁছায়। এছাড়া গত পাঁচ মাসে এই পথে সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।