০৫:২২ পূর্বাহ্ন, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রত্যেক হামলাকারীকে বিচারের আওতায় আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে নাশকতার ঘটনায় প্রত্যেক হামলাকারীকে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তবে প্রকৃত শিক্ষার্থী আন্দোলনকারীদের কোনো হয়রানি করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান মন্ত্রী। ‘দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের দুর্জয় শপথ’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে সাপ্তাহিক গণবাংলা ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ।

সাম্প্রতিক সময়ে নাশকতার প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৩-১৪ সালে নাশকতার পর অনেকের বিচার হয়েছে। কেউ কেউ আইনের ফাঁক-ফোকরে বের হয়ে গেছে। তবে এবার সেটি হবে না। প্রত্যেক হামলাকারীকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের পিএস ও ঢাকায় পুলিশকে হত্যা করে তাদের লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে, চট্টগ্রামে ছয়তলা ভবন থেকে ছাত্রলীগ কর্মীদের ফেলে দিয়েছে, মানুষ ও রাষ্ট্রের সম্পত্তি জ্বালিয়ে দিয়েছে, বিটিভিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তাদের কেউ আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের ভয়েস সরকারের হাতে এসেছে। সে বলছে- বড় হামলা করলে বড় পদ, কারফিউ ভঙ্গ করো, নাহলে পদ ছাড়ো। বিএনপির আরেক নেতা বলেছে- তোমরা আন্দোলনে ঢুকে যাও, নৈরাজ্য সৃষ্টি করো। ছাত্রলীগের কর্মী মারলে ৫ হাজার, পুলিশ মারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কারের স্বীকারোক্তি তারাই দিয়েছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দল? এটি একটি দেশবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন।’

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নাশকতার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশন স্থাপিত হওয়ার পর গত ৬০ বছরে বিটিভিতে কখনো হামলা-ভাঙচুর হয়নি। দুর্যোগে মানুষের ছুটে যাওয়ার স্থল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে ভাঙচুর চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা, দেশবাসীর গর্ব মেট্রোরেলের স্টেশন জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় বিদেশি রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনের আইডি হ্যাক করে ভুল বার্তা পোস্ট করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হবে না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হবে না। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে কেউ যেন অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের পরিচালনায় আয়োজিত ওই সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। এতে অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য আওলাদ হোসেন ও ফরিদা ইয়াসমিন ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

প্রত্যেক হামলাকারীকে বিচারের আওতায় আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট : ১০:০৭:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে নাশকতার ঘটনায় প্রত্যেক হামলাকারীকে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তবে প্রকৃত শিক্ষার্থী আন্দোলনকারীদের কোনো হয়রানি করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান মন্ত্রী। ‘দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের দুর্জয় শপথ’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে সাপ্তাহিক গণবাংলা ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ।

সাম্প্রতিক সময়ে নাশকতার প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৩-১৪ সালে নাশকতার পর অনেকের বিচার হয়েছে। কেউ কেউ আইনের ফাঁক-ফোকরে বের হয়ে গেছে। তবে এবার সেটি হবে না। প্রত্যেক হামলাকারীকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের পিএস ও ঢাকায় পুলিশকে হত্যা করে তাদের লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে, চট্টগ্রামে ছয়তলা ভবন থেকে ছাত্রলীগ কর্মীদের ফেলে দিয়েছে, মানুষ ও রাষ্ট্রের সম্পত্তি জ্বালিয়ে দিয়েছে, বিটিভিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তাদের কেউ আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের ভয়েস সরকারের হাতে এসেছে। সে বলছে- বড় হামলা করলে বড় পদ, কারফিউ ভঙ্গ করো, নাহলে পদ ছাড়ো। বিএনপির আরেক নেতা বলেছে- তোমরা আন্দোলনে ঢুকে যাও, নৈরাজ্য সৃষ্টি করো। ছাত্রলীগের কর্মী মারলে ৫ হাজার, পুলিশ মারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কারের স্বীকারোক্তি তারাই দিয়েছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দল? এটি একটি দেশবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন।’

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নাশকতার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশন স্থাপিত হওয়ার পর গত ৬০ বছরে বিটিভিতে কখনো হামলা-ভাঙচুর হয়নি। দুর্যোগে মানুষের ছুটে যাওয়ার স্থল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে ভাঙচুর চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা, দেশবাসীর গর্ব মেট্রোরেলের স্টেশন জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় বিদেশি রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনের আইডি হ্যাক করে ভুল বার্তা পোস্ট করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হবে না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হবে না। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে কেউ যেন অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের পরিচালনায় আয়োজিত ওই সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। এতে অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য আওলাদ হোসেন ও ফরিদা ইয়াসমিন ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রমুখ বক্তব্য দেন।