০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য, মমতাকে দিল্লির কড়া বার্তা

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের জেরে দিল্লির কাছে ক্ষোভ জানিয়েছিল ঢাকা। পরে বিষয়টি নিয়ে মমতাকে কড়া বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বিষয়টি স্বীকার করে নেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল।

কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে গত রোববার (২১ জুলাই) এক দলীয় সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বক্তব্য বলেন, ‘বাংলাদেশে ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ত ঝরছে।’ পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের লিখিত প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ সরকার। রণধীর জসওয়াল এদিন বিষয়টি স্বীকার করে জানান কূটনৈতিক স্তরে সেই প্রতিবাদপত্র ভারতের কাছে পৌঁছেছে।

তিনি আরও জানান, ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তফসিলের (শিডিউল) প্রথম তালিকার ১০ নম্বর বিষয়টিতে বলা আছে, পররাষ্ট্র সংক্রান্ত সবকিছুই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন, কেন্দ্রীয় তালিকাভুক্ত। এ ক্ষেত্রটি রাজ্য তালিকা কিংবা যুগ্ম তালিকায় নেই, রয়েছে কেন্দ্রীয় তালিকায়। কাজেই পররাষ্ট্রসংক্রান্ত কোনো বিষয়ে কোনো রাজ্য সরকারেরই বিন্দুমাত্র এখতিয়ার নেই। তিনি বলেন, ‘যা রাজ্যের বিষয় নয়, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের মাথা ঘামানোর কিছু নেই।’

প্রসঙ্গত, কলকাতার ওই সমাবেশ থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন ও অশান্তি প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, বাংলাদেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে তিনি ফেরাবেন না। এ বিষয়ে জাতিসংঘের একটি সনদের কথাও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। তবে একইসঙ্গে ‘এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না।’ মন্তব্য করে বলেন, কারণ বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র দেশ। এ নিয়ে কিছু বলার থাকলে ভারত সরকারই বলবে।

বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য, মমতাকে দিল্লির কড়া বার্তা

আপডেট : ১২:২৪:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের জেরে দিল্লির কাছে ক্ষোভ জানিয়েছিল ঢাকা। পরে বিষয়টি নিয়ে মমতাকে কড়া বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বিষয়টি স্বীকার করে নেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল।

কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে গত রোববার (২১ জুলাই) এক দলীয় সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বক্তব্য বলেন, ‘বাংলাদেশে ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ত ঝরছে।’ পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের লিখিত প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ সরকার। রণধীর জসওয়াল এদিন বিষয়টি স্বীকার করে জানান কূটনৈতিক স্তরে সেই প্রতিবাদপত্র ভারতের কাছে পৌঁছেছে।

তিনি আরও জানান, ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তফসিলের (শিডিউল) প্রথম তালিকার ১০ নম্বর বিষয়টিতে বলা আছে, পররাষ্ট্র সংক্রান্ত সবকিছুই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন, কেন্দ্রীয় তালিকাভুক্ত। এ ক্ষেত্রটি রাজ্য তালিকা কিংবা যুগ্ম তালিকায় নেই, রয়েছে কেন্দ্রীয় তালিকায়। কাজেই পররাষ্ট্রসংক্রান্ত কোনো বিষয়ে কোনো রাজ্য সরকারেরই বিন্দুমাত্র এখতিয়ার নেই। তিনি বলেন, ‘যা রাজ্যের বিষয় নয়, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের মাথা ঘামানোর কিছু নেই।’

প্রসঙ্গত, কলকাতার ওই সমাবেশ থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন ও অশান্তি প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, বাংলাদেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে তিনি ফেরাবেন না। এ বিষয়ে জাতিসংঘের একটি সনদের কথাও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। তবে একইসঙ্গে ‘এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না।’ মন্তব্য করে বলেন, কারণ বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র দেশ। এ নিয়ে কিছু বলার থাকলে ভারত সরকারই বলবে।