০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘যে নাশকতা চালানো হয়েছে, তার দায় বিএনপি-জামায়াতের’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে যে নাশকতা চালানো হয়েছে, তার দায় বিএনপি-জামায়াতের। শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে যে নাশকতা চালানো হয়েছে, এর দায় বিএনপি ও তাদের সহযোগিদের। শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বরাবরই শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত ছিল সরকার।’

পরে বিএনপি-জামায়াত প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ওপর ভর করে তারা নাশকতা করতে পারে, এমন আশঙ্কা এখন সত্য প্রমাণিত হয়েছে। দল দুটির কর্মীরা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় নজিরবিহীন নাশকতা হয়েছে। এ সহিংসতায় কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী অংশ নেয়নি। বিএনপি, ছাত্রদল, শিবিরের নেতা-কর্মীরাই সহিংসতা জড়িত। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যেভাবে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল ঠিক একইভাবে বিএনপি জামায়াত তাণ্ডব চালিয়েছে এই কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে।’

নাশকতাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রত্যেক মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে। এখনও যারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে যাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য দেশ এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা। তবে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করার অশুভ চক্রকে প্রতিহত করা হবে।’

আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, ৭১-এ যারা বেইমানি করেছে, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা এখনো বেইমান। ৭১-এর খুনি, ৭৫-এর খুনি, ২১ আগস্টের খুনি, ২৪ সালেও একই খুনিরা। তারা হচ্ছে বিএনপি জামায়াত।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের উপর দায় চাপানো হয়েছে। আমাদের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো।

কাদের এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘থলের বিড়াল বের হতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করছে, তারা দেশ এবং দেশের মানুষের ওপর আস্থা করে না। এবারও তাদের সে সন্ত্রাসী চরিত্র উন্মোচিত হওয়ায় এ দায় থেকে মুক্তি পেতে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ চাইছে।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, ইকবাল হোসেন অপু, আনিসুল হক প্রমুখ।

‘যে নাশকতা চালানো হয়েছে, তার দায় বিএনপি-জামায়াতের’

আপডেট : ০৫:০৬:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে যে নাশকতা চালানো হয়েছে, তার দায় বিএনপি-জামায়াতের। শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে যে নাশকতা চালানো হয়েছে, এর দায় বিএনপি ও তাদের সহযোগিদের। শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বরাবরই শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত ছিল সরকার।’

পরে বিএনপি-জামায়াত প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ওপর ভর করে তারা নাশকতা করতে পারে, এমন আশঙ্কা এখন সত্য প্রমাণিত হয়েছে। দল দুটির কর্মীরা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় নজিরবিহীন নাশকতা হয়েছে। এ সহিংসতায় কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী অংশ নেয়নি। বিএনপি, ছাত্রদল, শিবিরের নেতা-কর্মীরাই সহিংসতা জড়িত। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যেভাবে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল ঠিক একইভাবে বিএনপি জামায়াত তাণ্ডব চালিয়েছে এই কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে।’

নাশকতাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রত্যেক মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে। এখনও যারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে যাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য দেশ এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা। তবে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করার অশুভ চক্রকে প্রতিহত করা হবে।’

আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, ৭১-এ যারা বেইমানি করেছে, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা এখনো বেইমান। ৭১-এর খুনি, ৭৫-এর খুনি, ২১ আগস্টের খুনি, ২৪ সালেও একই খুনিরা। তারা হচ্ছে বিএনপি জামায়াত।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের উপর দায় চাপানো হয়েছে। আমাদের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো।

কাদের এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘থলের বিড়াল বের হতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করছে, তারা দেশ এবং দেশের মানুষের ওপর আস্থা করে না। এবারও তাদের সে সন্ত্রাসী চরিত্র উন্মোচিত হওয়ায় এ দায় থেকে মুক্তি পেতে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ চাইছে।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, ইকবাল হোসেন অপু, আনিসুল হক প্রমুখ।