লন্ডন থেকে নির্দেশেই বিশ্বের নানা স্থানে আন্দোলন: প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ১২:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪
- / ৩৭৮ বার পড়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, লন্ডন থেকে নির্দেশ পেয়ে বিশ্বের নানা জায়গায় আন্দোলন হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর রামপুরায় ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, লন্ডন থেকে নির্দেশ পেয়ে বিশ্বের নানা জায়গায় আন্দোলন হয়েছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। নাশকতায় জড়িতরা দেশের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে। তাদের খুঁজে বের করে বিচার করতে হবে। এ কাজে সাধারণ জনগণের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান বলেন, গত ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া তাঁর বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। তাদের রাজাকার বলা হয়নি। অথচ সেদিন রাতেই রাজাকার বলে স্লোগান দেওয়া হয়। পরে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদে পরিবর্তন হয় স্লোগান।
এ সময় শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে বলেন, সে সময় তিন হাজারের বেশি গাড়ি পোড়ানো হয়। তখনকার চেয়ে এবারের পোড়ানোর ধরন আলাদা। বেশিরভাগ জায়গায় গান পাউডার দিয়ে আগুন দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, নাশকতা চালাতে সারা বাংলদেশ থেকে জামাত শিবিরের সদস্যরা ঢাকার আশেপাশে অবস্থান নিয়ে এইভাবে আক্রমণ করেছে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সূত্র ধরে। প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে, সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সদস্যদেরও হত্যা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেই মারা যাক না কেন সে তো কোন না কোন বাবা-মার সন্তান। আমরা সে জন্য সত্যিই দু:খ প্রকাশ করি।’
তিনি বলেন, ‘দেশবাসীকে বলব, ঢাকাবাসীকে বলব, যাদের জন্য আজ আপনাদের এ দুর্ভোগ, যারা ধ্বংস করল, যাদের জন্য আজ বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, আমি তাদের বিচারের ভার এদেশের জনগণের ওপরই দিয়ে যাচ্ছি। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা এদেশের মানুষের রুটি-রুজির ওপর হাত দিয়েছে, রুটি-রুজির পথ বন্ধ করে দিয়েছে, তাদের বিচার জনগণকেই করতে হবে। কারণ জনগণই এ দেশের একমাত্র শক্তি। ’
কেউ মিথ্যাচার চালিয়ে যেন বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সে জন্য সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে কাউকে যেন বিভ্রান্ত করতে না পারে। (সবাই) আসল সত্যটা জানুক। ’
সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা হয়। এতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য। আন্দোলনের মধ্যেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বহু সরকারি স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর হয়। আগুন দেওয়া হয় রামপুরার বিটিভি ভবন, বনানীর সেতুভবন, মেট্রোরেল স্টেশন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বহু স্থাপনায়।
এর মধ্যে গত ১৮ জুলাই রাত ৯টার পর থেকে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। সেদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগে পুড়ে যায় তিনটি ডেটাসেন্টার, যেগুলোর ওপর নির্ভর করে দেশের ৬০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ। এভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে রাত থেকেই সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইন্টারনেট না থাকায় বিপাকে পড়েছিলেন দেশের ১৪ কোটি ব্যবহারকারী।