শিক্ষার্থীদের হয়রানি করবে না সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৯:৩০:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
- / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের হয়রানি করবে না সরকার, বরং তাদের নিরাপত্তা দেয়া হবে। এসময় শিক্ষার্থীদের কারোর প্ররোচনায় পা না দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (২৭শে জুলাই) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আলেম-ওলামাদের মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিএনপি জামায়াত মধ্যযুগীয় কায়দায় তালেবানী স্টাইলে বর্বরতা চালিয়েছে রাষ্ট্রের ওপর। প্রকৃত ছাত্ররা এ ধ্বংসযজ্ঞ চালায়নি। আদালতের মাধ্যমে কোটা সংস্কারের সমাধান হবে বলার পরও কেন এ ধ্বংসযজ্ঞ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তিনি। বলেন, প্রতিটি ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধী বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
ড. হাছান বলেন, দুর্বৃত্তরা অসৎ উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ব্যবহার করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।
সকল নৈরাজ্যকারী ও চক্রান্তকারীর বিচার হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিটি নাশকতার ঘটনার তদন্ত হবে, আমাদের কাছে ফুটেজও আছে। যারা হত্যাকান্ড, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করা হবে এবং বিচারের আওতায় আনা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে ছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ধৈর্য্য না ধরায়, দুর্বৃত্তরা এর সুযোগ নিয়েছে। শিক্ষার্থীদেরকে বলবো, তোমরা যাতে কারো প্ররোচনায় না পড়ো সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।’
মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে অচল করে দেয়ার জন্য তারা দেশের প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা করেছে। যারা ক্ষয়ক্ষতি করার চিন্তা করে, ইসলাম তাদের কখনো সমর্থন করে না। যারা দেশ জুড়ে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, মেট্রোরেলে হামলা চালানো হয়েছে। সাধারণ জনগণ যাতায়াত করতে কষ্ট পাচ্ছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের পুলিশ বাহিনী। আজ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। পুলিশ সদস্যকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের এই নৃশংসতা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে পার্টির মহাসচিব মাওলানা শাহাদাত হোসাইন এবং মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী, মুফতি আব্দুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ, লক্ষ্মীপুরের পীর খাজা হারুনুর রশিদ মিরনও বক্তব্য রাখেন।
পরে মাওলানা হারুন-রশিদ যুক্তিবাদী দেশ ও বিশ্বের শান্তি কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন।