০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাতিল হওয়া ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে রেলওয়ে

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ করে দেয়া হয় সারা দেশের ট্রেন চলাচল। আন্দোলনের সময় সারা দেশের কয়েকটি জায়গায় ট্রেনে ও স্টেশনে রাখা বিভিন্ন যন্ত্রাংশে হামলার কারণে ট্রেন চলাচল এখনও বন্ধ রয়েছে। তবে গত ১৯ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ ট্রেনের বিক্রীত আসনের টিকিটের টাকা যাত্রীদের ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়, গত ১৯ তারিখ থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওইদিন থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত ট্রেনের টিকিটের টাকা যাত্রীদের রিফান্ড করা হবে। যাদের টিকিট অনলাইন থেকে কেনা হয়েছে, তাদের অনলাইনে এবং যারা কাউন্টার থেকে কিনেছেন, তাদের কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিটের বিপরীতে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তবে এই প্রক্রিয়া শুরু হতে অন্তত তিনদিন সময় লাগবে। এই সময়ের মধ্যে যেসব আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে, সেসব ট্রেনের টিকিটের টাকা আন্তঃদেশিও কাউন্টার থেকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, ট্রেন না চলার কারণে টিকিট রিফান্ড করতে হচ্ছে। এটা সবচেয়ে বড় ক্ষতি। এখন পর্যন্ত যাত্রীদের ১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার বেশি টিকিট রিফান্ড করা হয়েছে। এছাড়া পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল মিলিয়ে রেলওয়ের মোট ক্ষতি হয়েছে ২২ কোটি ৩ লাখ ৮ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, সহিংসতায় হামলাকারীরা কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটি কোচে আগুন দিয়েছে। এছাড়া সোনার বাংলা, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পারাবত এক্সপ্রেসের বিভিন্ন কোচে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশনে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ, সিগন্যাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে রেললাইন উপড়ে ফেলার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

ট্রেন চলাচলের বিষয়ে তিনি বলেন, সারা দেশে কয়েকটি জায়গায় ট্রেনে ও স্টেশনে রাখা বিভিন্ন যন্ত্রাংশে হামলা করা হয়েছে। এ কারণে এখনও ট্রেন চালানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বাতিল হওয়া ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে রেলওয়ে

আপডেট : ০২:২২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ করে দেয়া হয় সারা দেশের ট্রেন চলাচল। আন্দোলনের সময় সারা দেশের কয়েকটি জায়গায় ট্রেনে ও স্টেশনে রাখা বিভিন্ন যন্ত্রাংশে হামলার কারণে ট্রেন চলাচল এখনও বন্ধ রয়েছে। তবে গত ১৯ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ ট্রেনের বিক্রীত আসনের টিকিটের টাকা যাত্রীদের ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়, গত ১৯ তারিখ থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওইদিন থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত ট্রেনের টিকিটের টাকা যাত্রীদের রিফান্ড করা হবে। যাদের টিকিট অনলাইন থেকে কেনা হয়েছে, তাদের অনলাইনে এবং যারা কাউন্টার থেকে কিনেছেন, তাদের কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিটের বিপরীতে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তবে এই প্রক্রিয়া শুরু হতে অন্তত তিনদিন সময় লাগবে। এই সময়ের মধ্যে যেসব আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে, সেসব ট্রেনের টিকিটের টাকা আন্তঃদেশিও কাউন্টার থেকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, ট্রেন না চলার কারণে টিকিট রিফান্ড করতে হচ্ছে। এটা সবচেয়ে বড় ক্ষতি। এখন পর্যন্ত যাত্রীদের ১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার বেশি টিকিট রিফান্ড করা হয়েছে। এছাড়া পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল মিলিয়ে রেলওয়ের মোট ক্ষতি হয়েছে ২২ কোটি ৩ লাখ ৮ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, সহিংসতায় হামলাকারীরা কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটি কোচে আগুন দিয়েছে। এছাড়া সোনার বাংলা, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পারাবত এক্সপ্রেসের বিভিন্ন কোচে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশনে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ, সিগন্যাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে রেললাইন উপড়ে ফেলার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

ট্রেন চলাচলের বিষয়ে তিনি বলেন, সারা দেশে কয়েকটি জায়গায় ট্রেনে ও স্টেশনে রাখা বিভিন্ন যন্ত্রাংশে হামলা করা হয়েছে। এ কারণে এখনও ট্রেন চালানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।