ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মেট্রোরেল স্টেশন চালু করতে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৭:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৬৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরি। শনিবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ সময় নাশকতা ও হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ এবং কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন দ্রুত চালু করতে জাপানের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মোহাম্মদ নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

সাক্ষাতে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তারা প্রথমে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নিরূপণ করবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন কীভাবে তারা বাংলাদেশকে স্টেশনগুলো পুনরায় চালু করতে সাহায্য করতে পারবে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ব্যাপক তাণ্ডব ও হতাহতের ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনকল্যাণ, নিরাপত্তা ও সেবার জন্য নির্মিত সরকারি স্থাপনাগুলো টার্গেট করে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে দুর্বৃত্তরা। তারা এমন সব স্থাপনায় হামলা করেছে, যেগুলো জনগণের জন্য উপকারী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এসব স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।

মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, মেট্রোরেলে হামলার পেছনে মুষ্টিমেয় কিছু লোক রয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ এর সুবিধাভোগী। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মেট্রোরেল নির্মাণে অনেকের ঘাম ও অশ্রু আছে।’ তিনি বলেন, তিনি মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর ক্ষতি করা দেখেছেন- যা তাকে অত্যন্ত কষ্ট দিয়েছে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ও অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

কোটা আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে চালানো হয় ব্যাপক নাশকতা ও তাণ্ডব। হামলা, লুটপাট চলে রাষ্ট্রীয় ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। এতে রক্ষা পায়নি রাজধানীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা মেট্রোরেলও। দুই দফায় নাশকতার শিকার হয়েছে মেট্রোরেল।

গত ১৮ জুলাই মেট্রোর লাইনের নিচে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরের পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। পরেরদিন সন্ধ্যায় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ব্যাপক নাশকতা চালানো হয়। হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট চলে অবাধে।

ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয় টিকেট ভেন্ডিং মেশিন, মূল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিন, টিকেট কাউন্টার, এক্সেলেটরসহ নানা স্থাপনা। শুধু ভাঙচুরই নয়, লুট করে নিয়ে যাওয়া নানা যন্ত্রাংশ।

হামলা চালানো হয়েছে মিরপুরের পল্লবী ও ১১ নম্বর স্টেশনের কিছু অংশে। আর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন মেরামতে এক বছর সময় লেগে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

মেট্রোরেল স্টেশন চালু করতে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:৫৭:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরি। শনিবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ সময় নাশকতা ও হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ এবং কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন দ্রুত চালু করতে জাপানের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মোহাম্মদ নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

সাক্ষাতে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তারা প্রথমে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নিরূপণ করবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন কীভাবে তারা বাংলাদেশকে স্টেশনগুলো পুনরায় চালু করতে সাহায্য করতে পারবে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ব্যাপক তাণ্ডব ও হতাহতের ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনকল্যাণ, নিরাপত্তা ও সেবার জন্য নির্মিত সরকারি স্থাপনাগুলো টার্গেট করে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে দুর্বৃত্তরা। তারা এমন সব স্থাপনায় হামলা করেছে, যেগুলো জনগণের জন্য উপকারী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এসব স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।

মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, মেট্রোরেলে হামলার পেছনে মুষ্টিমেয় কিছু লোক রয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ এর সুবিধাভোগী। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মেট্রোরেল নির্মাণে অনেকের ঘাম ও অশ্রু আছে।’ তিনি বলেন, তিনি মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর ক্ষতি করা দেখেছেন- যা তাকে অত্যন্ত কষ্ট দিয়েছে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ও অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

কোটা আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে চালানো হয় ব্যাপক নাশকতা ও তাণ্ডব। হামলা, লুটপাট চলে রাষ্ট্রীয় ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। এতে রক্ষা পায়নি রাজধানীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা মেট্রোরেলও। দুই দফায় নাশকতার শিকার হয়েছে মেট্রোরেল।

গত ১৮ জুলাই মেট্রোর লাইনের নিচে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরের পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। পরেরদিন সন্ধ্যায় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ব্যাপক নাশকতা চালানো হয়। হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট চলে অবাধে।

ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয় টিকেট ভেন্ডিং মেশিন, মূল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিন, টিকেট কাউন্টার, এক্সেলেটরসহ নানা স্থাপনা। শুধু ভাঙচুরই নয়, লুট করে নিয়ে যাওয়া নানা যন্ত্রাংশ।

হামলা চালানো হয়েছে মিরপুরের পল্লবী ও ১১ নম্বর স্টেশনের কিছু অংশে। আর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন মেরামতে এক বছর সময় লেগে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক।