১০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাশকতার অর্থায়ন আসে ৩ দেশ থেকে: র‍্যাব

কোটা সংস্কার আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে নাশকতা চালিয়েছে মোবাইল টেকনিশিয়ান, গণঅধিকার পরিষদ নেতা আর বিএনপিপন্থি ইঞ্জিনিয়ার্স সংগঠন- অ্যাব নেতারা। র‍্যাবের দাবি, তাদের নেতৃত্বে বিটিভি, মেট্রোরেল ও পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। এসব নাশকতার জন্য বিদেশ থেকে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা হয়। ভাঙচুর ও সহিংসতার ছবি পাঠানো হয় বিদেশেও।

রাজধানীর রামপুরা এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মাঝে ঢুকে পড়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল। তারা একে একে পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেয়। এরপর ধ্বংসযজ্ঞ চালায় কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশনে।

র‍্যাব বলছে, এসব নাশকতায় জড়িত মিরপুর এলাকার মোবাইল টেকনেশিয়ান আরিফুল ইসলাম ও গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নেতা তারেক রহমান।

এছাড়াও, জড়িত ছিল বিএনপিপন্থি ইঞ্জিনিয়ার্স সংগঠন- অ্যাব এর সহসভাপতি কামরুল আহসান। মূলত সাইবার জগতে সদস্য সংগ্রহ ও তাদের নজরদারি করতেন এই বিএনপি নেতা। তিনি ২০০ সদস্যের আলাদা গ্রুপ করে নাশকতা নির্দেশনাও দেন।

র‍্যাব মুখপাত্র মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘যাদের ১০-১২টি বা তার অধিক আ্যাকাউন্টস রয়েছে তার মাধ্যমে সরকার, রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপে বা প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ডা চালায়। বিসিএস স্পট লাইট এবং চাকরি প্রার্থী নামে ফেসবুকে তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোফাইল রয়েছে। এসবের মাধ্যমে তারা জনমত তৈরি করে এবং তার মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করে।’

পুলিশ বলছে, মুলত মেট্রোরেল, বিটিভি ভবন ও রামপুরা এলাকায় তান্ডবের দায়িত্ব ছিল জামায়াত ও শিবিরের নেতাদের।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘দেশের ভেতর থেকে আর্থিক বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং দেশের বাইরে থেকেও বিনিয়োগ করা হয়েছে, পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, উষ্কানি দেওয়া হয়েছে। সবগুলো তথ্য কিন্তু আমরা পেয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের কাছে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারা এ তথ্যগুলো কিন্তু আমাদের কাছে দিচ্ছেন এবং আমরা সেই তথ্যগুলো মিলিয়ে দেখছি।’

নাশকতায় জড়িত ও তাদের আর্থিক সহায়তাকারীদের ধরতে বিশেষ অভিযান ও ব্লক রেইড প্রতিরাতে চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

নাশকতার অর্থায়ন আসে ৩ দেশ থেকে: র‍্যাব

আপডেট : ০৯:৫১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে নাশকতা চালিয়েছে মোবাইল টেকনিশিয়ান, গণঅধিকার পরিষদ নেতা আর বিএনপিপন্থি ইঞ্জিনিয়ার্স সংগঠন- অ্যাব নেতারা। র‍্যাবের দাবি, তাদের নেতৃত্বে বিটিভি, মেট্রোরেল ও পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। এসব নাশকতার জন্য বিদেশ থেকে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা হয়। ভাঙচুর ও সহিংসতার ছবি পাঠানো হয় বিদেশেও।

রাজধানীর রামপুরা এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মাঝে ঢুকে পড়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল। তারা একে একে পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেয়। এরপর ধ্বংসযজ্ঞ চালায় কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশনে।

র‍্যাব বলছে, এসব নাশকতায় জড়িত মিরপুর এলাকার মোবাইল টেকনেশিয়ান আরিফুল ইসলাম ও গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নেতা তারেক রহমান।

এছাড়াও, জড়িত ছিল বিএনপিপন্থি ইঞ্জিনিয়ার্স সংগঠন- অ্যাব এর সহসভাপতি কামরুল আহসান। মূলত সাইবার জগতে সদস্য সংগ্রহ ও তাদের নজরদারি করতেন এই বিএনপি নেতা। তিনি ২০০ সদস্যের আলাদা গ্রুপ করে নাশকতা নির্দেশনাও দেন।

র‍্যাব মুখপাত্র মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘যাদের ১০-১২টি বা তার অধিক আ্যাকাউন্টস রয়েছে তার মাধ্যমে সরকার, রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপে বা প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ডা চালায়। বিসিএস স্পট লাইট এবং চাকরি প্রার্থী নামে ফেসবুকে তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রোফাইল রয়েছে। এসবের মাধ্যমে তারা জনমত তৈরি করে এবং তার মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করে।’

পুলিশ বলছে, মুলত মেট্রোরেল, বিটিভি ভবন ও রামপুরা এলাকায় তান্ডবের দায়িত্ব ছিল জামায়াত ও শিবিরের নেতাদের।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘দেশের ভেতর থেকে আর্থিক বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং দেশের বাইরে থেকেও বিনিয়োগ করা হয়েছে, পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, উষ্কানি দেওয়া হয়েছে। সবগুলো তথ্য কিন্তু আমরা পেয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের কাছে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারা এ তথ্যগুলো কিন্তু আমাদের কাছে দিচ্ছেন এবং আমরা সেই তথ্যগুলো মিলিয়ে দেখছি।’

নাশকতায় জড়িত ও তাদের আর্থিক সহায়তাকারীদের ধরতে বিশেষ অভিযান ও ব্লক রেইড প্রতিরাতে চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।