কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সহিংসতা ১৪৭ জন নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নিহতদের মধ্যে শিক্ষার্থীসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, পুলিশ ও বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন। অবশ্য নিহতের মধ্যে কতজন পুরুষ আর কতজন নারী তা জানাননি তিনি।
আসাদুজ্জামান খান জানান, নিহতদের মধ্যে কতজন নারী, কতজন পুরুষ কিংবা কোন পেশার মানুষ কতজন- সেটি নির্ধারণের কার্যক্রম চলছে। মৃতের সংখ্যা নির্ণয়ে আরও অনুসন্ধান চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেখানেই অগ্নি সংযোগ হয়েছে সেখানে গান পাউডার ব্যবহার হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এক পর্যায়ে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বহু হতাহত হন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, দেশজুড়ে সহিংসতায় নিয়তের সংখ্যা ২৬৬।
সরকারের দাবি, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি ও জামায়াত–শিবিরের নেতাকর্মীরা ছদ্মবেশে প্রবেশ করে সহিংসতা উসকে দেয়। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভি, বনানীর সেতুভবন, মহাখালির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, মেট্রোরেল স্টেশনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায়।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত ১৯ জুলাই রাত থেকে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার। মাঠে নামানো হয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের। সহিংসতার ঘটনায় শুধু রাজধানীতে ২২৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এতে রোববার পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ হাজার ৭৬৪ জনকে।