ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানাল জাতীয় পার্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:০১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৭৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়েছে জাতীয় পার্টি। সেই সাথে চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি জাতীয় পার্টির সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন পার্টির নেতারা।

রোববার (২৮ জুলাই) বনানীর জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে জাতীয় পার্টির জরুরি যৌথসভায় নেতারা এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘দীর্ঘদিনের শোষণ, বঞ্চনা, গণতন্ত্রহীনতায় মানুষের মধ্যে একটি চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। শিক্ষার্থীদের অহিংস আন্দোলনের ওপর অত্যাচার শুরুর পর থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য জনগণও তাদের সাথে নেমে পড়ে। ছাত্রদের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন, অসংখ্য ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। আহত করা হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি। এমন স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন আমরা অতীতে দেখিনি।’

তিনি বলেন, ‘এমন বর্বর ও নিপীড়নমূলক হত্যাকাণ্ড জাতি কখনও প্রত্যক্ষ করেনি, যার কারণে এ আন্দোলনে স্কুলের ছাত্র থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ দেখা যায়।’

পার্টির যৌথ সভায় নয়টি সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান চুন্নু। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, জাতীয় পার্টির এই যৌথ সভা সর্বসম্মতভাবে ছাত্রদের অধিকার আদায়ের বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জ্ঞাপন করে। সেই সঙ্গে চলমান অহিংস্র ছাত্র আন্দোলনের প্রতি জাতীয় পার্টির সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া, সভায় ছাত্রদের অহিংস্র আন্দোলনে নিহত ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।

ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের মামলার এজাহারে প্রকৃত মৃত্যুর কারণ না দিয়ে মিথ্যা এজাহার দাখিলের বিষয়ে নিন্দা জানানো হয়।

নিহত ছাত্র/ছাত্রীরা ‘বীর মুক্তিসেনা’ হিসেবে আখ্যায়িত হবে এবং একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের মাধ্যমে প্রকৃত নিহতের তালিকা প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়।

সভায় ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত সব সরকারি কর্মকর্তা ও উসকানিদাতাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের হয়রানি/নির্যাতন না করার আহ্বান জানানো হয়। ছাত্রদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তার সকল ছাত্রদের অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবি জানানো হয়।

সভা মনে করে কেপিআইভুক্ত স্থাপনাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব সরকারের। সরকার এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এই দায় সরকার এড়াতে পারে না।

এক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘সহিংসতার নামে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের দায় স্বীকার করে চলে যাওয়া উচিত।’

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোন মন্ত্রী বা এমপির বাড়িতে তো হামলা হয়নি। সেখানে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারি স্থাপনাগুলো রক্ষায় তাদের কোনো উদ্যোগ ছিল না। আন্দোলনরতদের গ্রেপ্তারের নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার বাণিজ্য চালাচ্ছে।’

যৌথ সভায় বক্তব্য রাখেন জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও আলমগীর সিকদার লোটন প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানাল জাতীয় পার্টি

আপডেট সময় : ০৮:০১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়েছে জাতীয় পার্টি। সেই সাথে চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি জাতীয় পার্টির সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন পার্টির নেতারা।

রোববার (২৮ জুলাই) বনানীর জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে জাতীয় পার্টির জরুরি যৌথসভায় নেতারা এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘দীর্ঘদিনের শোষণ, বঞ্চনা, গণতন্ত্রহীনতায় মানুষের মধ্যে একটি চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। শিক্ষার্থীদের অহিংস আন্দোলনের ওপর অত্যাচার শুরুর পর থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য জনগণও তাদের সাথে নেমে পড়ে। ছাত্রদের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন, অসংখ্য ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। আহত করা হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি। এমন স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন আমরা অতীতে দেখিনি।’

তিনি বলেন, ‘এমন বর্বর ও নিপীড়নমূলক হত্যাকাণ্ড জাতি কখনও প্রত্যক্ষ করেনি, যার কারণে এ আন্দোলনে স্কুলের ছাত্র থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ দেখা যায়।’

পার্টির যৌথ সভায় নয়টি সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান চুন্নু। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, জাতীয় পার্টির এই যৌথ সভা সর্বসম্মতভাবে ছাত্রদের অধিকার আদায়ের বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জ্ঞাপন করে। সেই সঙ্গে চলমান অহিংস্র ছাত্র আন্দোলনের প্রতি জাতীয় পার্টির সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া, সভায় ছাত্রদের অহিংস্র আন্দোলনে নিহত ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।

ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের মামলার এজাহারে প্রকৃত মৃত্যুর কারণ না দিয়ে মিথ্যা এজাহার দাখিলের বিষয়ে নিন্দা জানানো হয়।

নিহত ছাত্র/ছাত্রীরা ‘বীর মুক্তিসেনা’ হিসেবে আখ্যায়িত হবে এবং একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের মাধ্যমে প্রকৃত নিহতের তালিকা প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়।

সভায় ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত সব সরকারি কর্মকর্তা ও উসকানিদাতাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের হয়রানি/নির্যাতন না করার আহ্বান জানানো হয়। ছাত্রদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তার সকল ছাত্রদের অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবি জানানো হয়।

সভা মনে করে কেপিআইভুক্ত স্থাপনাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব সরকারের। সরকার এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এই দায় সরকার এড়াতে পারে না।

এক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘সহিংসতার নামে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের দায় স্বীকার করে চলে যাওয়া উচিত।’

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোন মন্ত্রী বা এমপির বাড়িতে তো হামলা হয়নি। সেখানে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারি স্থাপনাগুলো রক্ষায় তাদের কোনো উদ্যোগ ছিল না। আন্দোলনরতদের গ্রেপ্তারের নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার বাণিজ্য চালাচ্ছে।’

যৌথ সভায় বক্তব্য রাখেন জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও আলমগীর সিকদার লোটন প্রমুখ।