০৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বে ১ লাখ ডলারের বেশি সম্পদ আছে প্রায় ৬ কোটি মানুষের

বিশ্বের মোট সম্পদের প্রায় অর্ধেক মাত্র দেড় শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের দখলে। ২০২৪ সালের বিশ্ব সম্পদের প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বে ১ লাখ ডলারের বেশি সম্পদ আছে প্রায় ৬ কোটি মানুষের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। ২০২৮ সাল নাগাদ আরও বাড়বে ধনীদের সংখ্যা।

বিশ্বে করের অব্যবস্থাপনা, কর ফাঁকি, বেতন বৈষম্য, সম্পদের অসম বণ্টনের কারণে ধনী দরিদ্র বৈষম্য চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। শীর্ষ অর্থনীতির জোট জি সেভেন আর উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি টোয়েন্টি কোটিপতিদের ওপর কর বাড়ানোর পদক্ষেপ নিলেও তা কার্যকর হয়নি। ফলশ্রুতিতে বিশ্বে আরও বাড়ছে এই বৈষম্য।

ইউবিএস গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্ট ২০২৪ বলছে, বিশ্বে ৫ কোটি ৮০ লাখ বা দেড় শতাংশ কোটিপতির দখলে আছে ২১৩ লাখ কোটি ডলার। সবচেয়ে বেশি লাখপতি আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এর পরের অবস্থানে আছে চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জাপান। ২০২৮ সাল নাগাদ এই সংখ্যা আরও বাড়বে। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে সারাবিশ্বে বেড়েছে বিশ্বে মোট সম্পদ।

বিশ্বের প্রায় অর্ধেক সম্পদ যেখানে দেড় শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দখলে, সেখানে মাত্র আড়াই লাখ কোটি ডলারের সম্পদের মালিকানা প্রায় ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের কাছে। ৫৬ লাখ কোটি ডলারের মালিকানা সাড়ে ১২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের দখলে।

২০০০ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সারাবিশ্বে রেকর্ড বেড়েছে বিলিওনিয়ারদের সংখ্যা। লাখপতি বেড়েছে কাতার, চীনম, কাজাখস্তান, ভারত আর রাশিয়ায়। ইউবিএস বলছে, গেলো ১৫ বছরে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ১৭৭ শতাংশ বেড়েছে সম্পদের পরিমাণ। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য আর আফ্রিকাতেও বেড়েছে লাখপতির সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে বিশ্বের ৩৮ শতাংশ লাখপতি। আয়-ব্যয় বৈষম্য না কমলে বিশ্বে আরও বাড়বে ধনী দরিদ্রের ব্যবধান, এমনটাই বলছে ইউবিএস।

বিশ্বে ১ লাখ ডলারের বেশি সম্পদ আছে প্রায় ৬ কোটি মানুষের

আপডেট : ০৬:৫৮:২৫ অপরাহ্ন, রোববার, ২৮ জুলাই ২০২৪

বিশ্বের মোট সম্পদের প্রায় অর্ধেক মাত্র দেড় শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের দখলে। ২০২৪ সালের বিশ্ব সম্পদের প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বে ১ লাখ ডলারের বেশি সম্পদ আছে প্রায় ৬ কোটি মানুষের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। ২০২৮ সাল নাগাদ আরও বাড়বে ধনীদের সংখ্যা।

বিশ্বে করের অব্যবস্থাপনা, কর ফাঁকি, বেতন বৈষম্য, সম্পদের অসম বণ্টনের কারণে ধনী দরিদ্র বৈষম্য চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। শীর্ষ অর্থনীতির জোট জি সেভেন আর উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি টোয়েন্টি কোটিপতিদের ওপর কর বাড়ানোর পদক্ষেপ নিলেও তা কার্যকর হয়নি। ফলশ্রুতিতে বিশ্বে আরও বাড়ছে এই বৈষম্য।

ইউবিএস গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্ট ২০২৪ বলছে, বিশ্বে ৫ কোটি ৮০ লাখ বা দেড় শতাংশ কোটিপতির দখলে আছে ২১৩ লাখ কোটি ডলার। সবচেয়ে বেশি লাখপতি আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এর পরের অবস্থানে আছে চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জাপান। ২০২৮ সাল নাগাদ এই সংখ্যা আরও বাড়বে। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে সারাবিশ্বে বেড়েছে বিশ্বে মোট সম্পদ।

বিশ্বের প্রায় অর্ধেক সম্পদ যেখানে দেড় শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দখলে, সেখানে মাত্র আড়াই লাখ কোটি ডলারের সম্পদের মালিকানা প্রায় ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের কাছে। ৫৬ লাখ কোটি ডলারের মালিকানা সাড়ে ১২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের দখলে।

২০০০ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সারাবিশ্বে রেকর্ড বেড়েছে বিলিওনিয়ারদের সংখ্যা। লাখপতি বেড়েছে কাতার, চীনম, কাজাখস্তান, ভারত আর রাশিয়ায়। ইউবিএস বলছে, গেলো ১৫ বছরে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ১৭৭ শতাংশ বেড়েছে সম্পদের পরিমাণ। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য আর আফ্রিকাতেও বেড়েছে লাখপতির সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে বিশ্বের ৩৮ শতাংশ লাখপতি। আয়-ব্যয় বৈষম্য না কমলে বিশ্বে আরও বাড়বে ধনী দরিদ্রের ব্যবধান, এমনটাই বলছে ইউবিএস।