০৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া মরদেহের ৭৮ ভাগই শিক্ষার্থী নয়

সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত ৯০ জনের মরদেহ এসেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল। ময়নাতদন্তের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এদের ৭৮ শতাংশই নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ, শিক্ষার্থী ২২ ভাগ। এ ছাড়া বেশি প্রাণহানি যাত্রাবাড়ী এলাকায়।

ঢাকা মেডিকেলের মর্গে গিয়ে দেখা যায় তিন ভাইকে। দুজন এসেছেন পায়ে হেঁটে, অন্যজনের মরদেহ স্ট্রেচারে। তাঁর নাম জামান মিয়া। রোববার নরসিংদীতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি, মৃত্যু হয় বৃহস্পতিবার।

জামান মিয়া ভাই বলেন, ‘আমার ভাইয়ের যে বাড়িতে থাকত সেই বাড়িওয়ালা ওইদিন অনেকবার নিষেধ করেছিল তাকে বাইরে যেতে। সে নিষেধ আমার ভাই শোনে নাই। বাড়ি থেকে বের হয়ে যে কোম্পানিতে সে কাজ করত সেটির সামনে গিয়েই গুলিবিদ্ধ হয়। পরে মারা যায়।’

ঢাকা মেডিকেলে এ পর্যন্ত ময়নাতদন্ত হয়েছে ৯০ জনের। হাসপাতালের তথ্য পর্যালোচনা করে জানা যাচ্ছে, তাদের ১৫ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। তার মধ্যে আছে ২ ও ৬ বছরের শিশুও। আর ১৯ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে বয়স ৩৬ শতাংশের। ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তা ১৬ শতাংশ। এ ছাড়া ত্রিশের বেশি বয়সী ৩২ শতাংশ।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, একটি দেশের হাসপাতাল, চিকিৎসক সকল কিছুর ওপরে। চিকিৎসকের কাজ রোগীকে সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলা। কারো পরিচয় জেনে সেই অনুযায়ী কোনো সেবা দেওয়া হয় না।

আর পেশাগত পরিচয় বলছে, মৃতদের ২২ শতাংশ শিক্ষার্থী। শ্রমিক-কর্মচারী ২১, ব্যবসায়ী ১৮ ও চাকরিজীবী ১০ ভাগ। রিকশা ও ভ্যানচালক আট শতাংশ। এ ছাড়া দুই সাংবাদিক, দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্যান্য পেশায় ছিলেন ২১ ভাগ। আর শনাক্ত হয়নি সাত মরদেহ।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করলেও পরের দিকে অছাত্ররাই এই আন্দোলনে প্রবেশ করে ধ্বংসতাণ্ডব চালিয়েছে।

ঢাকা মেডিকেলে মরদেহ এসেছে বাড্ডা, রামপুরা, লালবাগ, এমকি নারায়ণগঞ্জ থেকেও। তবে সবচেয়ে বেশি এসেছে যাত্রাবাড়ী থেকে।

ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া মরদেহের ৭৮ ভাগই শিক্ষার্থী নয়

আপডেট : ০১:৪৪:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত ৯০ জনের মরদেহ এসেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল। ময়নাতদন্তের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এদের ৭৮ শতাংশই নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ, শিক্ষার্থী ২২ ভাগ। এ ছাড়া বেশি প্রাণহানি যাত্রাবাড়ী এলাকায়।

ঢাকা মেডিকেলের মর্গে গিয়ে দেখা যায় তিন ভাইকে। দুজন এসেছেন পায়ে হেঁটে, অন্যজনের মরদেহ স্ট্রেচারে। তাঁর নাম জামান মিয়া। রোববার নরসিংদীতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি, মৃত্যু হয় বৃহস্পতিবার।

জামান মিয়া ভাই বলেন, ‘আমার ভাইয়ের যে বাড়িতে থাকত সেই বাড়িওয়ালা ওইদিন অনেকবার নিষেধ করেছিল তাকে বাইরে যেতে। সে নিষেধ আমার ভাই শোনে নাই। বাড়ি থেকে বের হয়ে যে কোম্পানিতে সে কাজ করত সেটির সামনে গিয়েই গুলিবিদ্ধ হয়। পরে মারা যায়।’

ঢাকা মেডিকেলে এ পর্যন্ত ময়নাতদন্ত হয়েছে ৯০ জনের। হাসপাতালের তথ্য পর্যালোচনা করে জানা যাচ্ছে, তাদের ১৫ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। তার মধ্যে আছে ২ ও ৬ বছরের শিশুও। আর ১৯ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে বয়স ৩৬ শতাংশের। ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তা ১৬ শতাংশ। এ ছাড়া ত্রিশের বেশি বয়সী ৩২ শতাংশ।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, একটি দেশের হাসপাতাল, চিকিৎসক সকল কিছুর ওপরে। চিকিৎসকের কাজ রোগীকে সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলা। কারো পরিচয় জেনে সেই অনুযায়ী কোনো সেবা দেওয়া হয় না।

আর পেশাগত পরিচয় বলছে, মৃতদের ২২ শতাংশ শিক্ষার্থী। শ্রমিক-কর্মচারী ২১, ব্যবসায়ী ১৮ ও চাকরিজীবী ১০ ভাগ। রিকশা ও ভ্যানচালক আট শতাংশ। এ ছাড়া দুই সাংবাদিক, দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্যান্য পেশায় ছিলেন ২১ ভাগ। আর শনাক্ত হয়নি সাত মরদেহ।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করলেও পরের দিকে অছাত্ররাই এই আন্দোলনে প্রবেশ করে ধ্বংসতাণ্ডব চালিয়েছে।

ঢাকা মেডিকেলে মরদেহ এসেছে বাড্ডা, রামপুরা, লালবাগ, এমকি নারায়ণগঞ্জ থেকেও। তবে সবচেয়ে বেশি এসেছে যাত্রাবাড়ী থেকে।