০৩:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি পুতিনের

যুক্তরাষ্ট্র যদি জার্মানিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে, তাহলে রাশিয়া পাল্টা পদক্ষেপ নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এতে স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের মতো ইউরোপ ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

গত ১০ জুলাই পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো অঞ্চল ও ইউরোপের প্রতিরক্ষায় জার্মানিতে দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৬ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে এসব ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা আছে। স্নায়ুযুদ্ধের পর এই প্রথম এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে দেয়া এক ভাষণে ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন জার্মানিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করলে, পাল্টা পদক্ষেপ নেবে রাশিয়া। পশ্চিমে আঘাত হানতে সক্ষম এমন দূরত্বে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে মস্কো।

পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ স্নায়ুযুদ্ধ যুগের মতো ইউরোপে সংকট তৈরি করবে। জার্মানিতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনকে নিজেদের নিরাপত্তায় সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখছে রাশিয়া। এতে ইউরোপীয় দেশগুলোও নিজেদের বিপদ ডেকে আনছে।

ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘ইউরোপে মাঝারি-পাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন স্নায়ুযুদ্ধের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে, রাশিয়াও মাঝারি ও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি শুরু করবে। এতে বিপদের মুখে পড়বে ইউরোপ।’

পুতিনের অভিযোগ, ভবিষ্যতে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আরও সুসজ্জিত করা হবে। যা রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট।

স্নায়ুযুদ্ধে সময় যুক্তরাষ্ট্রের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউরোপে মোতায়েন ছিল। ১৯৮৭ সালে দুই দেশের মধ্যে করা স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বন্ধের চুক্তি ২০১৯ সালে ভেস্তে যায়। যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন না করলে, রাশিয়াও কোনো ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বন্ধ রাখার শর্ত দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি পুতিনের

আপডেট : ০১:২৪:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র যদি জার্মানিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে, তাহলে রাশিয়া পাল্টা পদক্ষেপ নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এতে স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের মতো ইউরোপ ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

গত ১০ জুলাই পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো অঞ্চল ও ইউরোপের প্রতিরক্ষায় জার্মানিতে দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৬ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে এসব ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা আছে। স্নায়ুযুদ্ধের পর এই প্রথম এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে দেয়া এক ভাষণে ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন জার্মানিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করলে, পাল্টা পদক্ষেপ নেবে রাশিয়া। পশ্চিমে আঘাত হানতে সক্ষম এমন দূরত্বে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে মস্কো।

পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ স্নায়ুযুদ্ধ যুগের মতো ইউরোপে সংকট তৈরি করবে। জার্মানিতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনকে নিজেদের নিরাপত্তায় সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখছে রাশিয়া। এতে ইউরোপীয় দেশগুলোও নিজেদের বিপদ ডেকে আনছে।

ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘ইউরোপে মাঝারি-পাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন স্নায়ুযুদ্ধের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে, রাশিয়াও মাঝারি ও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি শুরু করবে। এতে বিপদের মুখে পড়বে ইউরোপ।’

পুতিনের অভিযোগ, ভবিষ্যতে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আরও সুসজ্জিত করা হবে। যা রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট।

স্নায়ুযুদ্ধে সময় যুক্তরাষ্ট্রের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউরোপে মোতায়েন ছিল। ১৯৮৭ সালে দুই দেশের মধ্যে করা স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বন্ধের চুক্তি ২০১৯ সালে ভেস্তে যায়। যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন না করলে, রাশিয়াও কোনো ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বন্ধ রাখার শর্ত দেয়।