লিবিয়ায় বন্যায় বাঁধ ভেঙে গত বছরের সেপ্টেম্বরে চার হাজারে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ওই প্রাণহানির ঘটনায় ১২ সরকারি কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে লিবিয়ার আদালত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
একজন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বাঁধ ভেঙে প্রাণহানির ওই ঘটনাটি ঘটেছিল দেরনা শহরে। ওই ঘটনার পেছনে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং ওই বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের নিঃসন্দেহে দায় রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, পরিকল্পিত খুন এবং জনগণের অর্থ অপচয়ের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তাই ১২ জন কর্মকর্তাকে ৯ থেকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বিবিসি জানায়, লিবিয়ায় এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে প্রশাসনিক ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিভিন্ন বাঁধের পানি ধরে রাখার সক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়।
দেরনায় বাঁধ ভেঙে বহু মানুষ হতাহত হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা শহরের মেয়রের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ নগর পরিষদই বিলুপ্ত করা হয়।
দেরনার একজন বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, বন্যার সময় কিছু মানুষকে সরিয়ে নিয়েছিল সরকার। তবে তাদের জন্য পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করতে পারেনি। বরং তাদের এমন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যে এলাকা ছিল আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। পরে ওইসব এলাকাও বন্যার পানিতে ডুবে গিয়েছিল।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে লিবিয়ার উত্তর–উপকূলীয় এলাকায় মাত্র ২৩ ঘণ্টায় ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। দেখা দিয়েছিল নজিরবিহীন বন্যা। বাঁধ ভেঙে প্রাণহানি হয়েছিল চার হাজারেরও বেশি মানুষের।