ঢাকা ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চট্টগ্রামে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৭৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আবারও পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছে। পরে অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে নগরের কোতোয়ালি থানার চেরাগী পাহাড় মোড়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

এর আগে, বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সেখানে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।

এর আগে, বিকেল ৩টার দিকে জামালখান প্রেস ক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পুলিশি তৎপরতায় সেখানে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেননি তারা। কয়েকজন শিক্ষার্থী জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। আটকদের মধ্যে একজন চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

পরে শিক্ষার্থীরা জামালখান প্রেস ক্লাব থেকে কয়েকশ গজ দূরে গিয়ে চেরাগী পাহাড় মোড় এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। সেখানে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বেশি দেখা যায়।

এছাড়া, দুপুর ৩টার দিকে নগরের কাজীর দেউরি এলাকায়ও জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে সেখানে সেনাবাহিনীর কয়েকটা গাড়ি এসে অবস্থান নেয়। ঘটনাস্থলের পাশে পুলিশের একটি টিমও দেখা গেছে।

নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিনা অনুমতিতে তারা বিক্ষোভ শুরু করে। আমরা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে আমরা ২০ জনকে আটক করেছি। তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী তারেক আজিজ বলেন, এমনিতে সভা-সমাবেশ করলে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তারা পুলিশ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। এছাড়া, কারফিউ চলাকালে শিথিল থাকলেও কোনো সভা-সমাবেশ করা যায় না। কেউ যদি আইনভঙ্গ করে কর্মসূচি পালন করে, পুলিশ সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আইনিভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চট্টগ্রামে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ

আপডেট সময় : ০৭:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আবারও পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছে। পরে অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে নগরের কোতোয়ালি থানার চেরাগী পাহাড় মোড়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

এর আগে, বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সেখানে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।

এর আগে, বিকেল ৩টার দিকে জামালখান প্রেস ক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পুলিশি তৎপরতায় সেখানে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেননি তারা। কয়েকজন শিক্ষার্থী জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। আটকদের মধ্যে একজন চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

পরে শিক্ষার্থীরা জামালখান প্রেস ক্লাব থেকে কয়েকশ গজ দূরে গিয়ে চেরাগী পাহাড় মোড় এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। সেখানে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বেশি দেখা যায়।

এছাড়া, দুপুর ৩টার দিকে নগরের কাজীর দেউরি এলাকায়ও জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে সেখানে সেনাবাহিনীর কয়েকটা গাড়ি এসে অবস্থান নেয়। ঘটনাস্থলের পাশে পুলিশের একটি টিমও দেখা গেছে।

নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিনা অনুমতিতে তারা বিক্ষোভ শুরু করে। আমরা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে আমরা ২০ জনকে আটক করেছি। তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী তারেক আজিজ বলেন, এমনিতে সভা-সমাবেশ করলে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তারা পুলিশ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। এছাড়া, কারফিউ চলাকালে শিথিল থাকলেও কোনো সভা-সমাবেশ করা যায় না। কেউ যদি আইনভঙ্গ করে কর্মসূচি পালন করে, পুলিশ সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আইনিভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করবে।