০৯:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তেহরানে বাসভবনে ঢুকে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা

ইরানের রাজধানী তেহরানে নিজ বাসভবনে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলছে, নৃশংস জায়নবাদী এই হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস বলছে, জায়নবাদীদের নৃশংস হামলায় শাহাদাত বরণ করেছেন হামাস প্রধান। তেহরানে নিজ বাসভবনে অবস্থান করছিলেন হানিয়া। সেখানেই ঢুকে হত্যা করা হয় তাকে। নিজের দেহরক্ষীর সঙ্গেই তাকে টার্গেট করা হয়।

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে তেহরান গিয়েছিলেন হানিয়া। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ইসরাইল। হানিয়াকে হত্যার পেছনে দায়ীদের ছেড়ে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে হামাস।

মারা যাওয়ার আগে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) শেষবারের মতো জনসম্মুখে দেখা গেছে হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তেহরান এসেছিলেন তিনি।

এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। যদিও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি তেল আবিব।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনায় ইসরাইল দায় স্বীকার না করলেও মধ্যপ্রাচ্যে বেড়ে গেল যুদ্ধের আশঙ্কা। এখন ত্রিমুখী যুদ্ধ লাগতে পারে লেবানন, ইরান আর ইসরাইলের মধ্যে।

ইসরাইল সরাসরি কোন মন্তব্য না করলেও টুইটারে অনেক মন্ত্রীই এই হত্যাকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আর হামাস জানিয়েছে, হানিয়ার হত্যাকারীকে অবশ্যই শাস্তি দেয়া হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তেহরান।

ইরানের ৯ম প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তেহরানে অবস্থান করছিলেন হানিয়া। হামাসের দাবি, তেহরানের বাসভবনে ইসরাইল গুপ্তহত্যা চালায় হানিয়ার ওপর। এখনো প্রকাশ করা হয়নি বিস্তারিত তথ্য। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী।

৬২ বছর বয়সী এই নেতার জন্ম গাজা সিটির একটি শরণার্থী শিবিরে। ১৯৮০ এর দশকে প্রথম ইন্তিফাদার পর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এর সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ইসমাইল হানিয়া। ২০১৮ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৬ সাল থেকে কাতার আর তুর্কিয়েতে থাকছেন তিনি।

তেহরানে বাসভবনে ঢুকে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা

আপডেট : ০১:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

ইরানের রাজধানী তেহরানে নিজ বাসভবনে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলছে, নৃশংস জায়নবাদী এই হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস বলছে, জায়নবাদীদের নৃশংস হামলায় শাহাদাত বরণ করেছেন হামাস প্রধান। তেহরানে নিজ বাসভবনে অবস্থান করছিলেন হানিয়া। সেখানেই ঢুকে হত্যা করা হয় তাকে। নিজের দেহরক্ষীর সঙ্গেই তাকে টার্গেট করা হয়।

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে তেহরান গিয়েছিলেন হানিয়া। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ইসরাইল। হানিয়াকে হত্যার পেছনে দায়ীদের ছেড়ে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে হামাস।

মারা যাওয়ার আগে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) শেষবারের মতো জনসম্মুখে দেখা গেছে হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তেহরান এসেছিলেন তিনি।

এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। যদিও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি তেল আবিব।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনায় ইসরাইল দায় স্বীকার না করলেও মধ্যপ্রাচ্যে বেড়ে গেল যুদ্ধের আশঙ্কা। এখন ত্রিমুখী যুদ্ধ লাগতে পারে লেবানন, ইরান আর ইসরাইলের মধ্যে।

ইসরাইল সরাসরি কোন মন্তব্য না করলেও টুইটারে অনেক মন্ত্রীই এই হত্যাকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আর হামাস জানিয়েছে, হানিয়ার হত্যাকারীকে অবশ্যই শাস্তি দেয়া হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তেহরান।

ইরানের ৯ম প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তেহরানে অবস্থান করছিলেন হানিয়া। হামাসের দাবি, তেহরানের বাসভবনে ইসরাইল গুপ্তহত্যা চালায় হানিয়ার ওপর। এখনো প্রকাশ করা হয়নি বিস্তারিত তথ্য। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী।

৬২ বছর বয়সী এই নেতার জন্ম গাজা সিটির একটি শরণার্থী শিবিরে। ১৯৮০ এর দশকে প্রথম ইন্তিফাদার পর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এর সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ইসমাইল হানিয়া। ২০১৮ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৬ সাল থেকে কাতার আর তুর্কিয়েতে থাকছেন তিনি।