যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মাথাপিছু ঋণ ১ লাখ ৪ হাজার ডলার
- আপডেট সময় : ১২:৫৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
- / ৩৮১ বার পড়া হয়েছে
মাত্র ৭ মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ বেড়েছে এক ট্রিলিয়ন ডলার। যা প্রথমবারের মতো ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের নাগরিকদের মাথাপিছু ঋণ ১ লাখ ৪ হাজার ডলারে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, বৈশ্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ ও ক্রমবর্ধমান ঋণ।
বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ, অথচ প্রতিদিনই ঋণের ঝুলি বড় হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটি প্রথমবারের মতো এই ঋণের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলার। অনেকটা বেমানান শোনালেও, বাস্তবতা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের নাগরিকদের মাথাপিছু ঋণ ১ লাখ ৪ হাজার ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের তথ্যমতে, মাত্র ৭ মাসের মধ্যে জাতীয় ঋণে যুক্ত হয়েছে ১ ট্রিলিয়ন ডলার।
কংগ্রেশোনাল বাজেট কমিটি-সিবিও এর পূর্বাভাস বলছে, ২০২৭ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ পৌঁছাবে জিডিপির ১০৬ শতাংশে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৬ সালে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন মার্কিনিরা। বর্তমানে রাজস্বের ৯৮ শতাংশ অর্থই খরচ হচ্ছে ঋণ পরিশোধে। চলতি বছর কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট ঘাটতি ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর পূর্বাভাসও দেয়া হয়েছে। কোভিড মহামারির সময় ২০২০ ও ২০২১ সালে বাজেট ঘাটতি ছিল ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের ওপরে।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছেন দুই সরকার প্রধান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন। ট্রাম্পের ৪ বছরের শাসনামলে জাতীয় ঋণ বাড়ে প্রায় ২০ ট্রিলিয়ন ডলার। ধারের অর্ধেকই ছিল কোভিড মহামারির সময়ে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ও বিপুল প্রণোদনা। অন্যদিকে বাইডেনের মেয়াদে ইউক্রেন ও ইসরাইলকে বাজেট বরাদ্দ দেয়ায় ঋণ বেড়েছে প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার।
আইএমএফ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ ও ক্রমবর্ধমান ঋণের কারণে নষ্ট হচ্ছে বৈশ্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতা।