ঢাকা ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সহিংসতায় শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে জামায়াত-শিবির: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৮০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতায় জামায়াত-শিবির তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তেনিও অ্যালেসান্দ্রো সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তাকে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ–প্রেস সচিব নুরএলাহি মিনা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

উপপ্রেস সচিব জানান, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যায় অভ্যস্ত বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা জানান, তিনি চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিদের দেখতে বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাইকে সমানভাবে চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করছি’ দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ সবকিছুই ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের দিকে যাচ্ছে। যেহেতু পুরো দেশ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় এসেছে, এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেলের ভাঙচুর করা টোল প্লাজার পরিষেবাগুলো পুনরায় চালু করতে কিছুটা সময় লাগছে।

ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, সহিংসতাকারীরা বাংলাদেশের আধুনিকায়নের প্রতীকগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা করেছে। জনগণের সম্পদ ধ্বংস এবং জীবনহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। রাষ্ট্রদূত সম্পদ ধ্বংস বা গোটা বিষয়ের যেন বিচার এবং জবাবদিহি নিশ্চিত হয়, সে বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত হলি আর্টিজানে হামলার পর সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের পদক্ষেপ ও সাফল্যের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, সাম্প্রতিক এই ঘটনার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকারের সন্ত্রাস দমন কার্যক্রম এগিয়ে যাবে। সাম্প্রতিক সহিংসতা প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সামাল দিয়েছেন, ইতালির রাষ্ট্রদূত তারও প্রশংসা করেছেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। প্রায় দুই লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি এই সম্পর্কের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে এবং তারা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।

রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করে বলেন, এর কর্মক্ষেত্রের কেন্দ্রে থাকবে জ্বালানি, এসএমই, মহাকাশ প্রযুক্তি ও জাহাজ নির্মাণখাত উল্লেখ করে তিনি আইনি অভিবাসন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর-এ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সহিংসতায় শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে জামায়াত-শিবির: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতায় জামায়াত-শিবির তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তেনিও অ্যালেসান্দ্রো সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তাকে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ–প্রেস সচিব নুরএলাহি মিনা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

উপপ্রেস সচিব জানান, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যায় অভ্যস্ত বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা জানান, তিনি চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিদের দেখতে বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাইকে সমানভাবে চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করছি’ দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ সবকিছুই ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের দিকে যাচ্ছে। যেহেতু পুরো দেশ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় এসেছে, এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেলের ভাঙচুর করা টোল প্লাজার পরিষেবাগুলো পুনরায় চালু করতে কিছুটা সময় লাগছে।

ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, সহিংসতাকারীরা বাংলাদেশের আধুনিকায়নের প্রতীকগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা করেছে। জনগণের সম্পদ ধ্বংস এবং জীবনহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। রাষ্ট্রদূত সম্পদ ধ্বংস বা গোটা বিষয়ের যেন বিচার এবং জবাবদিহি নিশ্চিত হয়, সে বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত হলি আর্টিজানে হামলার পর সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের পদক্ষেপ ও সাফল্যের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, সাম্প্রতিক এই ঘটনার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকারের সন্ত্রাস দমন কার্যক্রম এগিয়ে যাবে। সাম্প্রতিক সহিংসতা প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সামাল দিয়েছেন, ইতালির রাষ্ট্রদূত তারও প্রশংসা করেছেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। প্রায় দুই লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি এই সম্পর্কের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে এবং তারা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।

রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করে বলেন, এর কর্মক্ষেত্রের কেন্দ্রে থাকবে জ্বালানি, এসএমই, মহাকাশ প্রযুক্তি ও জাহাজ নির্মাণখাত উল্লেখ করে তিনি আইনি অভিবাসন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর-এ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।