০৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ খামেনির

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর দুই সদস্যসহ দেশটির তিনজন সরকারি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। খবর এনডিটিভির।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বুধবার (৩১ জুলাই) হানিয়াকে হত্যার পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে আয়াতুল্লাহ খামেনি এই নির্দেশ দেন।

ইরান ও হামাস হানিয়াকে হত্যার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করে আসছে। তবে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা আছে কিনা, সে বিষয়ে স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি ইহুদি রাষ্ট্রটি। ইসরায়েল গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে আছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুসারে, বিদেশে শত্রুকে হত্যার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে ইসরায়েলের, এর মধ্যে ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সামরিক কমান্ডারও রয়েছেন।

গত ১০ মাস ধরে গাজায় যুদ্ধ চললেও ইরান এক্ষেত্রে ভারসাম্য আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। এই অঞ্চলে তার মিত্রদের মাধ্যম সরাসরি হামলা চালিয়ে এবং পরোক্ষ যুদ্ধের মাধ্যমে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিল দেশটি। তবে দেশ দুটি সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়িয়ে আসছিল।

গত এপ্রিলে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানি সামরিক কমান্ডারসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়। এরপর প্রতিশোধমূলক তৎপরতা হিসেবে ইরান ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়।

ইরানি কর্মকর্তারা জানান, ইরান কত জোরালো হামলা চালাবে তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ইরানের সামরিক কমান্ডাররা তেল আবিব এবং হাইফার আশপাশে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের সমন্বয়ে হামলার কথা বিবেচনা করছেন। তবে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা এড়ানোর জোর চেষ্টা করা হবে। ইরান এবং এর অন্যান্য ফ্রন্ট থেকে সমন্বিত আক্রমণের কথা বিবেচনায় রাখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ইয়েমেন, সিরিয়া এবং ইরাক থেকেও হামলা চালানো হতে পারে।

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘে ইরানের মিশনসহ অন্যান্য ইরানি কর্মকর্তারাও প্রকাশ্যে বলেছেন যে, সার্বভৌমত্ব রক্ষার অধিকার তাদের রয়েছে। আর তাই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তারা প্রতিশোধ নেবে।

ফিলিস্তিনের হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুথি এবং ইরাকের একাধিক মিলিশিয়া বাহিনীকে সমর্থন করে ইরান। এই সংগঠনগুলোর নেতারা ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথে তেহরানে অবস্থান করছিলেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হানিয়াকে হত্যা করা হয়।

ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ খামেনির

আপডেট : ০১:১৬:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর দুই সদস্যসহ দেশটির তিনজন সরকারি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। খবর এনডিটিভির।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বুধবার (৩১ জুলাই) হানিয়াকে হত্যার পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে আয়াতুল্লাহ খামেনি এই নির্দেশ দেন।

ইরান ও হামাস হানিয়াকে হত্যার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করে আসছে। তবে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পৃক্ততা আছে কিনা, সে বিষয়ে স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি ইহুদি রাষ্ট্রটি। ইসরায়েল গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে আছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুসারে, বিদেশে শত্রুকে হত্যার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে ইসরায়েলের, এর মধ্যে ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সামরিক কমান্ডারও রয়েছেন।

গত ১০ মাস ধরে গাজায় যুদ্ধ চললেও ইরান এক্ষেত্রে ভারসাম্য আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। এই অঞ্চলে তার মিত্রদের মাধ্যম সরাসরি হামলা চালিয়ে এবং পরোক্ষ যুদ্ধের মাধ্যমে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিল দেশটি। তবে দেশ দুটি সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়িয়ে আসছিল।

গত এপ্রিলে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানি সামরিক কমান্ডারসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়। এরপর প্রতিশোধমূলক তৎপরতা হিসেবে ইরান ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়।

ইরানি কর্মকর্তারা জানান, ইরান কত জোরালো হামলা চালাবে তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ইরানের সামরিক কমান্ডাররা তেল আবিব এবং হাইফার আশপাশে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের সমন্বয়ে হামলার কথা বিবেচনা করছেন। তবে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা এড়ানোর জোর চেষ্টা করা হবে। ইরান এবং এর অন্যান্য ফ্রন্ট থেকে সমন্বিত আক্রমণের কথা বিবেচনায় রাখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ইয়েমেন, সিরিয়া এবং ইরাক থেকেও হামলা চালানো হতে পারে।

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘে ইরানের মিশনসহ অন্যান্য ইরানি কর্মকর্তারাও প্রকাশ্যে বলেছেন যে, সার্বভৌমত্ব রক্ষার অধিকার তাদের রয়েছে। আর তাই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তারা প্রতিশোধ নেবে।

ফিলিস্তিনের হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুথি এবং ইরাকের একাধিক মিলিশিয়া বাহিনীকে সমর্থন করে ইরান। এই সংগঠনগুলোর নেতারা ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথে তেহরানে অবস্থান করছিলেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হানিয়াকে হত্যা করা হয়।