গরম চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে দিন শুরু হয় অনেকেরই। ক্লান্তি দূর করতে এক কাপ চায়ের তুলনা নেই। লোককাহিনী অনুসারে, আকস্মিকভাবেই এই পানীয়টি আবিষ্কার করেছিলেন ২৭৩৭ খ্রিষ্ট–পূর্বাব্দে চীনের সম্রাট শেন নাং। কিন্তু এই চা আমদের শরীরের জন্য আসলে কতটা উপকারি!
চা বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয়। একেক দেশে চা তৈরির প্রক্রিয়াও একেক রকম। বর্তমান সময়ে অনেক পদের চা পাওয়া গেলেও আমাদের দেশে রং চা এবং দুধ চা তুমুল জনপ্রিয়। তবে জানা যাক স্বাস্থ্যের জন্য এ দুটোর মধ্যে কোনটি বেশি উপকারি:
দুধ চা মানুষের মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সক্রিয় করে এবং মস্তিষ্কে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ দুধ চা খেতে পছন্দ করলেও এটি শরীরের জন্য উপকারি নয়। দুধে থাকা প্রোটিনের সঙ্গে চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো মিশে প্রতিক্রিয়া করে। যা হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে, এটি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় এবং অনেক বেশি দুধ চা পান করলে মানুষের উদ্বেগের সমস্যা বাড়তে পারে। দুধের মধ্যে থাকা ক্যাসেইন চায়ের মধ্যে বিদ্যমান ক্যাটেচিনকে বাধাগ্রস্ত করে। যা রক্তনালীর প্রসারণ ঘটায় না।
তবে দুধ চা এর তুলনায় রং চা থেকে বেশকিছু উপকার পাওয়া যায়। এই পানীয় নানাভাবে শরীরের গঠনে কাজে লাগে। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে ক্লান্তি দূর করার পাশাপাশি হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রং চায়ে থিয়োফিলাইন নামে একটি উপাদান থাকে। যা শরীরকে সার্বিকভাবে চাঙ্গা করতে দারুন কাজে দেয়। এই পানীয়তে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ সহ এমন কিছু উপাদান, যা লাং, প্রস্টেট, কলোরেকটাল, ব্লাডার, ওরাল এবং ওভারিয়ান ক্যান্সারকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
শুধু তাই নয়, রং চা শরীরের যেকোনো অংশে ম্যালিগনেন্ট টিউমারের বৃদ্ধি আটকাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এতে রয়েছে টেনিস নামে একটি উপাদান যা নানা ধরনের ক্ষতিকর ভাইরাসের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এই চা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি, ওজন হ্রাস, হজম ক্ষমতার উন্নতি ও স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়া আরো অনেক পদের চা রয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েকটি হলো লেবু চা, মধু চা,পুদিনা চা এবং গ্রিন টি ইত্যাদি। আর এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি।