হামাসের সামরিক প্রধান দাইফ নিহত
- আপডেট সময় : ০৭:১৯:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
- / ৩৮৫ বার পড়া হয়েছে
হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দাইফ ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দেশটির দেশটির সামরিক বাহিনী।
গত ১৩ জুলাই অবরুদ্ধ গাজার খান ইউনিসে ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় দাইফ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরাইল।
এক গুপ্তহামলায় হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর পরদিনই ইসরাইলি বাহিনী স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটির সামরিকপ্রধানের মৃত্যুর খবর দিলো।
তবে হামাসের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট দাইফের মৃত্যুকে ‘উল্লেখযোগ্য মাইলফলক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, গত ১৩ জুলাই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার খান ইউনিস এলাকায় ইসরাইলের বিমান হামলায় মোহাম্মদ দাইফ নিহত হন। ওই বিমান হামলার পর হামাসের আরেক কমান্ডার রাফা সালেমেহ নিহত হওয়ার খবর দিয়েছিলো ইসরাইলি বাহিনী। তারা এখন বলছে, তখন মোহাম্মদ দাইফ নিহত হওয়ার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
কে এই মোহাম্মদ দাইফ
মোহাম্মদ দাইফ ১৯৯০-এর দশকে হামাসের সামরিক শাখার প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে এই ইউনিটটির নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও তাকে দায়ী করে আসছে দেশটি।
বেশ কয়েক বছর ধরে ইসরাইলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার শীর্ষে রয়েছেন মোহাম্মদ দাইফ। অতীতে ইসরাইলের একাধিক হত্যাচেষ্টা থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আত্মগোপনে ছিলেন হামাসের এই শীর্ষস্থানীয় নেতা। এমনকি ইন্টারনেটেও তার খুব বেশি ছবি নেই।
৭ অক্টোবর সকালে ‘আল আকসা বন্যা’ নামের ওই অভিযানের ঘোষণা দিয়ে দাইফের একটি বিরল ভয়েস রেকর্ড প্রকাশ করে হামাস।
সিনওয়ারের মতো তিনিও ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের শরণার্থী শিবিরে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে হামাস গঠনের পরপরই তাতে যোগ দেন বলে ধারণা করা হয়।
১৯৮৯ সালে ফিলিস্তিনের প্রথম ইন্তিফাদা বা গণজাগরণের সময় ইসরাইলি বাহিনী দাইফকে গ্রেপ্তার করে। অবশ্য পরে তাকে ছেড়েও দেয়।
২০০২ সালে হামাসের সামরিক শাখার তৎকালীন প্রধান ইসরাইলি হামলায় নিহত হলে তার স্থলাভিষিক্ত হন দাইফ। তিনি গাজাজুড়ে মাটির নিচ দিয়ে অসংখ্য সুড়ঙ্গ নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নায়ক ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। এছাড়া আত্মঘাতী বোমা হামলাসহ বহু ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিককে হত্যার পরিকল্পনার জন্য তাকে দায়ী করা হয়।
ছাড়া পাওয়ার পর থেকে দাইফ একেবারে পর্দার আড়ালে চলে গেছেন। তার চেহারা, এমনকি তিনি সুস্থ ছিলেন কি না, তাও ফিলিস্তিনিদের বেশিরভাগের কাছেই অজানা ছিলো।
আরবিতে তার নাম ‘দাইফ’ এর অর্থ ‘অতিথি’, যা তার ঘন ঘন স্থান পরিবর্তনের সঙ্গে সার্থক।