১২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সূর্যালোক ছাড়াই সমুদ্রের তলদেশে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন!

সমুদ্রের ৪ হাজার মিটার তলদেশে অন্ধকারে আচ্ছন্ন এক জগৎ। আর সেখানেই নাকি রয়েছে অক্সিজেন! বিজ্ঞানীরা বলছেন এর নাম ‘ডার্ক অক্সিজেন’। ‘নেচার জিওসায়েন্স’ নামের এক জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র থেকে জানা যাচ্ছে এমনই তথ্য।

কী এই ‘ডার্ক অক্সিজেন’? প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে, যেখানে সূর্যের আলোর কোনো চিহ্ন নেই সেখানই প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন উৎপন্ন হতে দেখা গিয়েছে। হাওয়াই ও মেক্সিকোর পশ্চিম উপকূলের মাঝামাঝি ওই অঞ্চলের নাম ক্ল্যারিঅন-ক্লিপার্টন জোন (সিসিজেড)। ৪৫ লাখ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত ওই অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র বিজ্ঞানীদের কৌতূহলের এক ক্ষেত্র। ফলে সেখানে তাঁদের নজর সব সময়ই থাকে। এবার সেখানেই সন্ধান মিলল ‘ডার্ক অক্সিজেনে’র। এই সংক্রান্ত গবেষণার অন্যতম গবেষক অধ্যাপক লিসা লেভিনের দাবি, এই অক্সিজেন এক অপ্রত্যাশিত আবিষ্কার।

তবে অপ্রত্যাশিত হলেও রাতারাতি এই আবিষ্কার করেননি বিজ্ঞানীরা। এক দশক আগে গভীর সমুদ্র পরিবেশবিদ অ্যান্ড্রু সুইটম্যান গভীর সমুদ্রে অক্সিজেনের মাত্রা সংক্রান্ত গবেষণা শুরু করেন। আর তার পরই তিনি অবাক হয়ে দেখেন, ওই অন্ধকার সমুদ্রপৃষ্ঠে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটাই বেশি!

গবেষণায় দেখা যায়, অক্সিজেন উৎপন্ন হচ্ছে সমুদ্রের তলদেশে। গবেষণায় উঠে আসে, সমুদ্রের তলদেশের শিলা থেকে সূর্যালোক ছাড়াই উৎপন্ন হচ্ছে অক্সিজেন। এই শিলাকে ‘পলিমেটালিক নোডুলস’ বলা হয়।আর এগুলোই এই ‘ডার্ক অক্সিজেন’ উৎপন্ন করছে।

গবেষকদের ধারণা, ওই অঞ্চলে এই শিলাগুলো ০.৯৫ ভোল্ট উৎপন্ন করে। আর সেটাই সমুদ্রের পানি থেকে অক্সিজেন তৈরি করছে। এই আবিষ্কারকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এতদিন মনে করা হত পৃথিবীতে সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লষণের মাধ্যমেই অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। কিন্তু এই নতুন আবিষ্কার এতদিনের ধারণাকে বদলে দিচ্ছে।

সূর্যালোক ছাড়াই সমুদ্রের তলদেশে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন!

আপডেট : ০১:৪১:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

সমুদ্রের ৪ হাজার মিটার তলদেশে অন্ধকারে আচ্ছন্ন এক জগৎ। আর সেখানেই নাকি রয়েছে অক্সিজেন! বিজ্ঞানীরা বলছেন এর নাম ‘ডার্ক অক্সিজেন’। ‘নেচার জিওসায়েন্স’ নামের এক জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র থেকে জানা যাচ্ছে এমনই তথ্য।

কী এই ‘ডার্ক অক্সিজেন’? প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে, যেখানে সূর্যের আলোর কোনো চিহ্ন নেই সেখানই প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন উৎপন্ন হতে দেখা গিয়েছে। হাওয়াই ও মেক্সিকোর পশ্চিম উপকূলের মাঝামাঝি ওই অঞ্চলের নাম ক্ল্যারিঅন-ক্লিপার্টন জোন (সিসিজেড)। ৪৫ লাখ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত ওই অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র বিজ্ঞানীদের কৌতূহলের এক ক্ষেত্র। ফলে সেখানে তাঁদের নজর সব সময়ই থাকে। এবার সেখানেই সন্ধান মিলল ‘ডার্ক অক্সিজেনে’র। এই সংক্রান্ত গবেষণার অন্যতম গবেষক অধ্যাপক লিসা লেভিনের দাবি, এই অক্সিজেন এক অপ্রত্যাশিত আবিষ্কার।

তবে অপ্রত্যাশিত হলেও রাতারাতি এই আবিষ্কার করেননি বিজ্ঞানীরা। এক দশক আগে গভীর সমুদ্র পরিবেশবিদ অ্যান্ড্রু সুইটম্যান গভীর সমুদ্রে অক্সিজেনের মাত্রা সংক্রান্ত গবেষণা শুরু করেন। আর তার পরই তিনি অবাক হয়ে দেখেন, ওই অন্ধকার সমুদ্রপৃষ্ঠে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটাই বেশি!

গবেষণায় দেখা যায়, অক্সিজেন উৎপন্ন হচ্ছে সমুদ্রের তলদেশে। গবেষণায় উঠে আসে, সমুদ্রের তলদেশের শিলা থেকে সূর্যালোক ছাড়াই উৎপন্ন হচ্ছে অক্সিজেন। এই শিলাকে ‘পলিমেটালিক নোডুলস’ বলা হয়।আর এগুলোই এই ‘ডার্ক অক্সিজেন’ উৎপন্ন করছে।

গবেষকদের ধারণা, ওই অঞ্চলে এই শিলাগুলো ০.৯৫ ভোল্ট উৎপন্ন করে। আর সেটাই সমুদ্রের পানি থেকে অক্সিজেন তৈরি করছে। এই আবিষ্কারকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এতদিন মনে করা হত পৃথিবীতে সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লষণের মাধ্যমেই অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। কিন্তু এই নতুন আবিষ্কার এতদিনের ধারণাকে বদলে দিচ্ছে।