ঢাকা ০৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জুলাইয়ে ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৮০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হঠাৎ করেই জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রবাহ কমে প্রবাসী আয়ে। প্রথম ২৭ দিনে রেমিট্যান্স আসে ১৫৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। পরে মাসের শেষ চার দিনে তা অনেকটাই বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৯১ কোটি ডলার। এরপরও তা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আমদানি-রপ্তানির ঘাটতি পূরণ করা এই প্রবাসী আয় কমায় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর তাই সমস্যা সমাধানে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

প্রবাসীদেরে একজন বলেন, ‘নেটওয়ার্ক বন্ধের কারণে আমরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারি নাই।’

আরেকজন বলেন, ‘বাংলাদেশে খোলা বাজারে ডলারের দাম বেশি পাওয়ায় এইজন্য হুন্ডি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করছে।’

কিছুটা বাড়তি অর্থ আর পাঠানোর সাথে সাথে পরিবারের কাছে পৌঁছে যাওয়া। যে কারণে হুন্ডিকে বেছে নেন বলে জানাচ্ছিলেন প্রবাসীরা।

গত ১৯ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন হয় এক কার্যদিবস। আর এসময় দেশে রেমিট্যান্স আসে ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। অথচ চলতি মাসের প্রথম ১৮ দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় আসে সাত কোটি ৯০ লাখ ডলার।

সীমিত লেনদেনের প্রভাবের কথা বলা হলেও পরের তিন কার্যদিবসে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও কম দেখা গেছে। যেখানে ২৪ জুলাই পর্যন্ত রেমিট্যান্স আসে ১৫০ কোটি ডলার। সেখানে ২৭ জুলাই পর্যন্ত আসে ১৫৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। এতে ২৫ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত এ আয় আসে মাত্র ৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি জুলাই মাসের প্রথম ১৩ দিনে আসে ৯৭ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং ১৪ থেকে ২০ জুলাই ৭ দিনে আসে ৪৫ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর পরের সপ্তাহ অর্থাৎ ২১ থেকে ২৭ জুলাই তা নেমে দাঁড়ায় ১৩ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ডলারে।

এ হিসাব অনুযায়ী জুলাইয়ের ২৭ দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৫ কোটি ৪০ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪ ডলার। যা আগের মাস জুনের চেয়ে কম। আবার ২৮ থেকে ৩১ জুলাই সেই ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়েছে। ফলে জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ১৯১ কোটি ডলার।

এরপরও তা গত ১০ মাসে মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স। এরআগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সর্বনিম্ন ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার এ আয় এসেছিল। আর বিগত তিন অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি আসে গত জুন মাসে। সে মাসে এ আসে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার।

তাই হঠাৎ করে এ আয় কমে যাওয়ায় বড় কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে হুন্ডি ও খোলা বাজারে ডলারের দাম বৃদ্ধি। সেই সাথে ব্যাংক খাতের সমস্যা ও ভোগান্তির কথাও তুলে ধরেন কেউ কেউ।

প্রবাসীদের একজন বলেন, ‘ব্যাংকে দুই লাখ টাকা পাঠালে সেখানে তুলতে গেলে হাতে দেয় ১০ হাজার টাকা। যেই সমস্যার জন্য টাকা পাঠায় সেটা আরও বেড়ে যায়।’

আরেকজন বলেন, ‘ব্যাংকে টাকা পাঠালে তিনদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। আমার পরিবার গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গিয়ে সেখানে অপেক্ষা করে। আর এই হুন্ডিতে টাকা পাঠায়। দিনে দিয়ে দিনে টাকা হাতে পায়।’

এদিকে গত কয়েকদিনে রেমিট্যান্স কম আসায় বেড়েছে খোলা বাজারে ডলারের দাম। কিছুদিন আগেও যেখানে প্রতি ডলার ১২১ থেকে ১২২ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। তা বেড়ে হয়েছে ১২৪ থেকে ১২৫ টাকা।

মূলত সর্বোচ্চ ১১৯ টাকা দাম নির্ধারণে ডলার সংকটে পড়েছে মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে না পারায় আনুষ্ঠানিক বিক্রি বন্ধ করে দিয়ে বাড়তি দামেই লেনদেন চালাচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান।

রেমিট্যান্স হুন্ডিতে পাঠানো হলে যার কাছে পাঠানো হচ্ছে তিনি পেলেও সেই বৈদেশিক মুদ্রা দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবেশ করে না। এতে আমদানি ও রপ্তানির মাঝে যে ঘাটতি থাকে তা পূরণে রিজার্ভের উপর নির্ভর করতে হয়। তাই বিশ্লেষকরা বলছেন রেমিট্যান্স একদিকে যেমন ডলারের চাহিদা পূরণ করে তেমনি রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তাও করে। আর প্রবাসী আয় যদি কমে যায় তাহলে শুধু রিজার্ভ বা আমদানি রপ্তানি নয়। বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের উপর।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। আর এসময় আমদানি হয়েছে ৫ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে আমদানি-রপ্তানির মধ্যে ঘাটতি রয়েছে ২ হাজার ২২ কোটি টাকা। তবে চলতি বছর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ না বাড়লে এ ঘাটতি আরো বেশি হত বলে জানিয়েছে বিশ্লেষকরা।

দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের অবদান রপ্তানি থেকে বেশি বলে জানান এই সাবেক গভর্নর।

সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের অবদান অপরিসীম। রেমিট্যান্সের মাধ্যমে সব থেকে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।’

আর এই আয় যদি কোনো কারণে কমে যায় তাহলে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়ার কথা জানিয়েছে এই অর্থনীতিবিদ।

অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ফরমাল চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমদানি শীতলতা ছিল তা রাখতে পারবেন না। এক্ষেত্রে অবাধে আমদানি করা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে ফরমাল চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসা বন্ধ হয় তাহলে অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা পড়বে আবার।’

তাই অর্থনীতি স্বাভাবিক রাখতে সমস্যা নিরসনের পরামর্শ দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ।

অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রবাসীরাও দুশ্চিন্তায় রয়েছে। এখানে কারফিউ চলছে, ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখায় তারা কথাবার্তা বলতে পারছে না। একে তারাও প্রভাবিত হয়েছে। তাদের এই দুশ্চিন্তা দুর করতে হলে তাদের প্রণোদনা, তাদের সন্তান ও পরিবারকে দু:চিন্তামুক্ত করতে হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলার।

নিউজটি শেয়ার করুন

জুলাইয়ে ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স

আপডেট সময় : ১২:৫৩:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

হঠাৎ করেই জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রবাহ কমে প্রবাসী আয়ে। প্রথম ২৭ দিনে রেমিট্যান্স আসে ১৫৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। পরে মাসের শেষ চার দিনে তা অনেকটাই বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৯১ কোটি ডলার। এরপরও তা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আমদানি-রপ্তানির ঘাটতি পূরণ করা এই প্রবাসী আয় কমায় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর তাই সমস্যা সমাধানে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

প্রবাসীদেরে একজন বলেন, ‘নেটওয়ার্ক বন্ধের কারণে আমরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারি নাই।’

আরেকজন বলেন, ‘বাংলাদেশে খোলা বাজারে ডলারের দাম বেশি পাওয়ায় এইজন্য হুন্ডি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করছে।’

কিছুটা বাড়তি অর্থ আর পাঠানোর সাথে সাথে পরিবারের কাছে পৌঁছে যাওয়া। যে কারণে হুন্ডিকে বেছে নেন বলে জানাচ্ছিলেন প্রবাসীরা।

গত ১৯ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন হয় এক কার্যদিবস। আর এসময় দেশে রেমিট্যান্স আসে ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। অথচ চলতি মাসের প্রথম ১৮ দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় আসে সাত কোটি ৯০ লাখ ডলার।

সীমিত লেনদেনের প্রভাবের কথা বলা হলেও পরের তিন কার্যদিবসে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও কম দেখা গেছে। যেখানে ২৪ জুলাই পর্যন্ত রেমিট্যান্স আসে ১৫০ কোটি ডলার। সেখানে ২৭ জুলাই পর্যন্ত আসে ১৫৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। এতে ২৫ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত এ আয় আসে মাত্র ৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি জুলাই মাসের প্রথম ১৩ দিনে আসে ৯৭ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং ১৪ থেকে ২০ জুলাই ৭ দিনে আসে ৪৫ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর পরের সপ্তাহ অর্থাৎ ২১ থেকে ২৭ জুলাই তা নেমে দাঁড়ায় ১৩ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ডলারে।

এ হিসাব অনুযায়ী জুলাইয়ের ২৭ দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৫ কোটি ৪০ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪ ডলার। যা আগের মাস জুনের চেয়ে কম। আবার ২৮ থেকে ৩১ জুলাই সেই ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়েছে। ফলে জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ১৯১ কোটি ডলার।

এরপরও তা গত ১০ মাসে মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স। এরআগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সর্বনিম্ন ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার এ আয় এসেছিল। আর বিগত তিন অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি আসে গত জুন মাসে। সে মাসে এ আসে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার।

তাই হঠাৎ করে এ আয় কমে যাওয়ায় বড় কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে হুন্ডি ও খোলা বাজারে ডলারের দাম বৃদ্ধি। সেই সাথে ব্যাংক খাতের সমস্যা ও ভোগান্তির কথাও তুলে ধরেন কেউ কেউ।

প্রবাসীদের একজন বলেন, ‘ব্যাংকে দুই লাখ টাকা পাঠালে সেখানে তুলতে গেলে হাতে দেয় ১০ হাজার টাকা। যেই সমস্যার জন্য টাকা পাঠায় সেটা আরও বেড়ে যায়।’

আরেকজন বলেন, ‘ব্যাংকে টাকা পাঠালে তিনদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। আমার পরিবার গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গিয়ে সেখানে অপেক্ষা করে। আর এই হুন্ডিতে টাকা পাঠায়। দিনে দিয়ে দিনে টাকা হাতে পায়।’

এদিকে গত কয়েকদিনে রেমিট্যান্স কম আসায় বেড়েছে খোলা বাজারে ডলারের দাম। কিছুদিন আগেও যেখানে প্রতি ডলার ১২১ থেকে ১২২ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। তা বেড়ে হয়েছে ১২৪ থেকে ১২৫ টাকা।

মূলত সর্বোচ্চ ১১৯ টাকা দাম নির্ধারণে ডলার সংকটে পড়েছে মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে না পারায় আনুষ্ঠানিক বিক্রি বন্ধ করে দিয়ে বাড়তি দামেই লেনদেন চালাচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান।

রেমিট্যান্স হুন্ডিতে পাঠানো হলে যার কাছে পাঠানো হচ্ছে তিনি পেলেও সেই বৈদেশিক মুদ্রা দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবেশ করে না। এতে আমদানি ও রপ্তানির মাঝে যে ঘাটতি থাকে তা পূরণে রিজার্ভের উপর নির্ভর করতে হয়। তাই বিশ্লেষকরা বলছেন রেমিট্যান্স একদিকে যেমন ডলারের চাহিদা পূরণ করে তেমনি রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তাও করে। আর প্রবাসী আয় যদি কমে যায় তাহলে শুধু রিজার্ভ বা আমদানি রপ্তানি নয়। বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের উপর।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। আর এসময় আমদানি হয়েছে ৫ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে আমদানি-রপ্তানির মধ্যে ঘাটতি রয়েছে ২ হাজার ২২ কোটি টাকা। তবে চলতি বছর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ না বাড়লে এ ঘাটতি আরো বেশি হত বলে জানিয়েছে বিশ্লেষকরা।

দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের অবদান রপ্তানি থেকে বেশি বলে জানান এই সাবেক গভর্নর।

সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের অবদান অপরিসীম। রেমিট্যান্সের মাধ্যমে সব থেকে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।’

আর এই আয় যদি কোনো কারণে কমে যায় তাহলে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়ার কথা জানিয়েছে এই অর্থনীতিবিদ।

অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ফরমাল চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমদানি শীতলতা ছিল তা রাখতে পারবেন না। এক্ষেত্রে অবাধে আমদানি করা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে ফরমাল চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসা বন্ধ হয় তাহলে অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা পড়বে আবার।’

তাই অর্থনীতি স্বাভাবিক রাখতে সমস্যা নিরসনের পরামর্শ দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ।

অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রবাসীরাও দুশ্চিন্তায় রয়েছে। এখানে কারফিউ চলছে, ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখায় তারা কথাবার্তা বলতে পারছে না। একে তারাও প্রভাবিত হয়েছে। তাদের এই দুশ্চিন্তা দুর করতে হলে তাদের প্রণোদনা, তাদের সন্তান ও পরিবারকে দু:চিন্তামুক্ত করতে হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলার।