মা-বাবা পারেননি, ছেলে করে দেখালেন
- আপডেট সময় : ০২:০৩:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
- / ৩৭৪ বার পড়া হয়েছে
লিঁও মারশঁ পুলে নামবেন, অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে সোনা জিতে নেবেন- প্যারিস অলিম্পিকে এটা যেন অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছেলেদের ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলে, ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক, ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে সোনা জেতার পর আজ ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলের সোনাটাও জিতে নিয়েছেন ২২ বছর বয়সী এ ফরাসি সাঁতারু। গত ৬ দিনে এটি মারশঁ-এর চতুর্থ সোনা!
আজ প্যারিসের প্যারিসের লা দেফন্স অ্যারেনাতে ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলেতে মার্শ সময় নিয়েছেন ১ মিনিট ৫৪.০৬ সেকেন্ড। ভেঙেছেন বেইজিং অলিম্পিকে গড়া মাইকেল ফেলপসের ১ মিনিট ৫৪.২৩ সেকেন্ডের অলিম্পিক রেকর্ড।
মারশেঁর কীর্তি দেখতে গ্যালারীতে আজ হাজির হয়েছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। এছাড়া ছিলেন তরুণ এ সাঁতারুর বাবা ও মা। মজার বিষয়, তাঁরা দুজনও অলিম্পিকে ২০০ মিটার মিডলেতে সাঁতরেছেন। কিন্তু কখনো পদক জেতা হয়নি।
মারশেঁর মা সেলিনে ১৯৯২ অলিম্পিকে ১৪তম হয়েছিলেন, অন্যদিকে তাঁর বাবা হ্যাভিয়ের ১৯৯৬ ও ২০০০ অলিম্পিকে যথাক্রমে অষ্টম ও সপ্তম হয়ে ২০০ মিটার মিডলে শেষ করেছিলেন। নিজেরা না পারলেও গ্যালারি থেকে সন্তানকে সোনা জেতার সাক্ষী হয়ে থাকলেন তাঁরা।
লা দেফন্সে আজ অবশ্য শুরুতে মারশঁ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলেন। তবে ৫০ মিটার যেতে না যেতেই সবাইকে অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যান ২২ বছর বয়সী এ সাঁতারু। বাকি পথটা শেষ করেন সবার থেকে এগিয়ে থেকেই। মারশঁ যেখানে অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন, তাঁর চেয়ে ১.২৫ সেকেন্ড বেশি সময় নিয়ে রুপা জিতেছেন গ্রেট ব্রিটেনের ডানকান স্কট (১ মিনিট ৫৫.৩১ সেকেন্ড)। ১ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন চীনের ওয়াং শান।
টোকিওর পর প্যারিসেও দ্বিতীয় হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো স্কটকে। প্রতিযোগিতা শেষে মারশঁ-এর প্রশংসা করতে গিয়ে রুপা জয়ী গ্রেট ব্রিটেনের এ সাঁতারু বলেছেন, ‘আমার মনে আছে, প্রতিযোগিতার মাত্র কিছুটা সময় আমি লিঁওর (মারশঁ) সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পেরেছিলাম। কিন্তু ও ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে বিশ্বসেরা, ২০০ মিটার ফ্লাইতেও বিশ্বের সেরা সাঁতারু। একই সঙ্গে ২০০ মিটার মিডলে ও ৪০০ মিটার মিডলেতেও সেরা। এমন পরিস্থিতিতেও ওর সঙ্গে লড়তে পারাটা বিরাট সম্মানের। প্রচুর দর্শক উপস্থিত হয়েছিলেন।’
দর্শকদের অধিকাংশের সমর্থনটা যে ঘরের ছেলে মারশঁ এর দিকে গেছে, এটা না বললেও চলে।