১১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীর বিক্ষোভে অভিভাবকরাও

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ নানা পেশাজীবী সংগঠন। আজ (শনিবার, ৩ আগস্ট) সহিংসতা বন্ধসহ শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন তারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আজও বিক্ষোভ হয়। সকালে উত্তরার বিএনএস সেন্টার এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় তারা। আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে পরিবারের সদস্যদেরও দেখা যায় শিক্ষার্থীদের সাথে। ৯ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।

তাদের একজন বলেন, ‘পুলিশের গুলি আমাদের টাকায় কিনা। আর সেই গুলি আমাদের বুকে কেন ছোঁড়া হচ্ছে।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায় রামপুরা বনশ্রী এলাকায়। সেখানে সড়কেই বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিতি আঁকতে থাকে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক বলেই তাদের সঙ্গে রাস্তায় নেমেছি বলে জানান অভিভাবকরা।

সায়েন্সল্যাবেও স্লোগানে মুখর হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। ৯ দফা দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তারা। শিক্ষার্থীদের আর কোনো হয়রানি মেনে নেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা শুধু নিজেদের জন্য আন্দোলন করছি না। আমরা গোটা দেশের মানুষের জন্য আন্দোলনে নেমেছি।’

এদিকে ছাত্রদের উপর হামলা, মামলা নিপীড়নের প্রতিবাদে ধানমন্ডিতে মানববন্ধন করেছেন ধানমন্ডির অভিভাবকরা। শিক্ষার্থীর পাশে অভিভাবক ব্যানারে ছাত্র ছাত্রীদের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন তারা। বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি, হামলা ও গুম বন্ধ করতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।

এক অভিভাবক বলেন, ‘আমি আমার সন্তানের জন্য এসেছি। আমার সন্তান যেন বেঁচে থাকে। তারা গুলি খাবে এটা কখনও চিন্তা করতে পারি না।’

দেশব্যাপী সহিংসতা বন্ধে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শান্তি সমাবেশ করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ। ছাত্রদের নিরাপত্তা জরুরি জানিয়ে দেশকে বাঁচাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনের আহ্বান জানান তারা।

সারাদেশে সহিংসতা ও সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন। আন্দোলনে সংবাদ সংগ্রহের সময় যেসব সাংবাদিক মারা গেছেন, সেগুলোর প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের দাবি জানান বক্তারা।

এক সাংবাদিক বলেন, ‘সাংবাদিকদের নির্যাতন করা হয়েছে। সেটার বিচার না করা পর্যন্ত দেশের জনগণের সাথে আমরা একাত্মতা ঘোষণা করলাম।’

এদিকে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে নীল দলের ব্যানারে শিক্ষকদের একাংশ মানববন্ধন করেন। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত সকল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন তারা। এসময় ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ, হলে বৈধ ছাত্রের অবস্থান নিশ্চিত করাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন শিক্ষকরা।

এছাড়া এফডিসিতেও মানববন্ধন করেছে শিল্পী কলাকুশলীরা। নয় দফা দাবি আদায়ে রোববার থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীর বিক্ষোভে অভিভাবকরাও

আপডেট : ০৭:৫৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ নানা পেশাজীবী সংগঠন। আজ (শনিবার, ৩ আগস্ট) সহিংসতা বন্ধসহ শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন তারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আজও বিক্ষোভ হয়। সকালে উত্তরার বিএনএস সেন্টার এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় তারা। আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে পরিবারের সদস্যদেরও দেখা যায় শিক্ষার্থীদের সাথে। ৯ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।

তাদের একজন বলেন, ‘পুলিশের গুলি আমাদের টাকায় কিনা। আর সেই গুলি আমাদের বুকে কেন ছোঁড়া হচ্ছে।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায় রামপুরা বনশ্রী এলাকায়। সেখানে সড়কেই বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিতি আঁকতে থাকে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক বলেই তাদের সঙ্গে রাস্তায় নেমেছি বলে জানান অভিভাবকরা।

সায়েন্সল্যাবেও স্লোগানে মুখর হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। ৯ দফা দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তারা। শিক্ষার্থীদের আর কোনো হয়রানি মেনে নেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা শুধু নিজেদের জন্য আন্দোলন করছি না। আমরা গোটা দেশের মানুষের জন্য আন্দোলনে নেমেছি।’

এদিকে ছাত্রদের উপর হামলা, মামলা নিপীড়নের প্রতিবাদে ধানমন্ডিতে মানববন্ধন করেছেন ধানমন্ডির অভিভাবকরা। শিক্ষার্থীর পাশে অভিভাবক ব্যানারে ছাত্র ছাত্রীদের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন তারা। বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি, হামলা ও গুম বন্ধ করতে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।

এক অভিভাবক বলেন, ‘আমি আমার সন্তানের জন্য এসেছি। আমার সন্তান যেন বেঁচে থাকে। তারা গুলি খাবে এটা কখনও চিন্তা করতে পারি না।’

দেশব্যাপী সহিংসতা বন্ধে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শান্তি সমাবেশ করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ। ছাত্রদের নিরাপত্তা জরুরি জানিয়ে দেশকে বাঁচাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনের আহ্বান জানান তারা।

সারাদেশে সহিংসতা ও সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন। আন্দোলনে সংবাদ সংগ্রহের সময় যেসব সাংবাদিক মারা গেছেন, সেগুলোর প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের দাবি জানান বক্তারা।

এক সাংবাদিক বলেন, ‘সাংবাদিকদের নির্যাতন করা হয়েছে। সেটার বিচার না করা পর্যন্ত দেশের জনগণের সাথে আমরা একাত্মতা ঘোষণা করলাম।’

এদিকে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে নীল দলের ব্যানারে শিক্ষকদের একাংশ মানববন্ধন করেন। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত সকল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন তারা। এসময় ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ, হলে বৈধ ছাত্রের অবস্থান নিশ্চিত করাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন শিক্ষকরা।

এছাড়া এফডিসিতেও মানববন্ধন করেছে শিল্পী কলাকুশলীরা। নয় দফা দাবি আদায়ে রোববার থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।