ঢাকা ০৩:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সরকার পতনের এক দফা দাবি ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৮:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৮৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অসহযোগের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে এই ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আর এক মিনিটও এই সরকার থাকবে না। এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ।

তিনি বলেন, আমরা আর তাদের কাছে কী বিচার চাইব? তারাই তো খুনি। আমাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আপনাদের আন্দোলনের কারণে আমরা ছাড়া পেয়েছি। আজকেও গুলি চলেছে। এই পরিস্থিতিতে এক দফা ঘোষণা করছি। শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে’। তিনি আগেই বুঝেছেন, দরজা খোলা রাখার সময় হয়েছে। আমরা আসছি। এই যে খুন-হত্যা হয়েছে, এজন্য তাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুধু শেখ হাসিনা নন, সব মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমাদের এক দফা হলো শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং এই সরকারের লুটপাট-দুর্নীতির বিচার। আমরা জেলের তালা ভেঙে আমাদের ভাইদের আনব। যে অভ্যুত্থান শুরু হয়েছে, এতে সব জনতা যোগ দিন। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে সম্মিলিত মোর্চা গঠন করব। আমরা আমাদের দেশের রূপরেখা ঘোষণা করব। আগামীকাল থেকে সর্বত্র অসহযোগ আন্দোলন হবে।

এই সমন্বয়ক বলেন, যদি ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ জারি হয় আমরা মেনে নেব না। এখন ছাত্র-জনতার এগিয়ে আসতে হবে। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে অসহযোগ আন্দোলন পালন করবেন। সরকার যদি জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, এটা জনগণ মানবে না। আপনারা যদি অস্ত্র চালান তাহলে প্রতিরোধ হবে। আমরা সব গণহত্যার বিচার করব বাংলার মাটিতে।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিসভার সব সদস্যের পদত্যাগ দাবিতে রোববার (৪ আগস্ট) সারাদেশে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে বলে সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর আগে দুপুরের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও এর আশপাশের অবস্থায় নেওয়া শুরু করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কোটা আন্দোলনের সমর্থনে অভিভাবক ও অনেক শ্রেণি-পেশার মানুষও এতে অংশ নেন। এসময় অনেকের হাতে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

শহীদ মিনার এলাকায় শিক্ষার্থীদের ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে,’ ‘জাস্টিস জাস্টিস উই ওয়ান্ট জাস্টিস,’ ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিবো রক্ত,’ ‘স্বৈরাচারের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে,’ ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো,’ ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর,’ এসব স্লোগান প্রকম্পিত হতে থাকে। বিকেল ৫টার পর এই আন্দোলনের সমন্বয়করা বক্তব্য শুরু করে। পরে এক দফা দাবি আদায়ের ঘোষণা দেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকার পতনের এক দফা দাবি ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৮:৩৮:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অসহযোগের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে এই ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আর এক মিনিটও এই সরকার থাকবে না। এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ।

তিনি বলেন, আমরা আর তাদের কাছে কী বিচার চাইব? তারাই তো খুনি। আমাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আপনাদের আন্দোলনের কারণে আমরা ছাড়া পেয়েছি। আজকেও গুলি চলেছে। এই পরিস্থিতিতে এক দফা ঘোষণা করছি। শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে’। তিনি আগেই বুঝেছেন, দরজা খোলা রাখার সময় হয়েছে। আমরা আসছি। এই যে খুন-হত্যা হয়েছে, এজন্য তাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুধু শেখ হাসিনা নন, সব মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমাদের এক দফা হলো শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং এই সরকারের লুটপাট-দুর্নীতির বিচার। আমরা জেলের তালা ভেঙে আমাদের ভাইদের আনব। যে অভ্যুত্থান শুরু হয়েছে, এতে সব জনতা যোগ দিন। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে সম্মিলিত মোর্চা গঠন করব। আমরা আমাদের দেশের রূপরেখা ঘোষণা করব। আগামীকাল থেকে সর্বত্র অসহযোগ আন্দোলন হবে।

এই সমন্বয়ক বলেন, যদি ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ জারি হয় আমরা মেনে নেব না। এখন ছাত্র-জনতার এগিয়ে আসতে হবে। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে অসহযোগ আন্দোলন পালন করবেন। সরকার যদি জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, এটা জনগণ মানবে না। আপনারা যদি অস্ত্র চালান তাহলে প্রতিরোধ হবে। আমরা সব গণহত্যার বিচার করব বাংলার মাটিতে।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিসভার সব সদস্যের পদত্যাগ দাবিতে রোববার (৪ আগস্ট) সারাদেশে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে বলে সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর আগে দুপুরের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও এর আশপাশের অবস্থায় নেওয়া শুরু করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কোটা আন্দোলনের সমর্থনে অভিভাবক ও অনেক শ্রেণি-পেশার মানুষও এতে অংশ নেন। এসময় অনেকের হাতে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

শহীদ মিনার এলাকায় শিক্ষার্থীদের ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে,’ ‘জাস্টিস জাস্টিস উই ওয়ান্ট জাস্টিস,’ ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিবো রক্ত,’ ‘স্বৈরাচারের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে,’ ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো,’ ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর,’ এসব স্লোগান প্রকম্পিত হতে থাকে। বিকেল ৫টার পর এই আন্দোলনের সমন্বয়করা বক্তব্য শুরু করে। পরে এক দফা দাবি আদায়ের ঘোষণা দেওয়া হয়।