০১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দোলনকারীদের সাথে আমি বসতে চাই, সংঘাত চাই না : প্রধানমন্ত্রী

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিজেই বসতে চান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (শনিবার) গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণভবনের দরজা খোলা। কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে আমি বসতে চাই। তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না।

বৈঠকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটা সহিংসতায় সারা দেশে আটক সকল শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, ওই ঘটনায় যে পুলিশ সদস্য জড়িত তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রস্তাবিত পেনশন ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করেন সরকারপ্রধান।

এদিকে, গতকাল রাতে গণভবনে জরুরি বৈঠকে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে এবং তিন জন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে বলেন, আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নবান ও সহনশীল থাকতে হবে। একইসাথে তিন নেতার টিম আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে। এই টিমে ১৪ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদেরও যুক্ত করতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

প্রসঙ্গত, সারা দেশে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গতকালও গণমিছিল করেছে। গতকালের গণমিছিলে কবি সাহিত্যিক, শিক্ষক চিকিৎসক, শিল্পী কলাকুশলীসহ বিভিন্নস্তরের শ্রেণিপেশার মানুষও সংহতি জানিয়ে অংশ নেন। ঢাকার উত্তরা, খুলনা, হবিগঞ্জ ও সিলেটে গণমিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। লক্ষ্মীপুর, নরসিংদীসহ বিভিন্ন স্থানের গণমিছিলে হামলা ও বাধা দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। আজ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারীদের সাথে আমি বসতে চাই, সংঘাত চাই না : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০২:০৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিজেই বসতে চান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (শনিবার) গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণভবনের দরজা খোলা। কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে আমি বসতে চাই। তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না।

বৈঠকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটা সহিংসতায় সারা দেশে আটক সকল শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, ওই ঘটনায় যে পুলিশ সদস্য জড়িত তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রস্তাবিত পেনশন ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করেন সরকারপ্রধান।

এদিকে, গতকাল রাতে গণভবনে জরুরি বৈঠকে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে এবং তিন জন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে বলেন, আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নবান ও সহনশীল থাকতে হবে। একইসাথে তিন নেতার টিম আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে। এই টিমে ১৪ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদেরও যুক্ত করতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

প্রসঙ্গত, সারা দেশে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গতকালও গণমিছিল করেছে। গতকালের গণমিছিলে কবি সাহিত্যিক, শিক্ষক চিকিৎসক, শিল্পী কলাকুশলীসহ বিভিন্নস্তরের শ্রেণিপেশার মানুষও সংহতি জানিয়ে অংশ নেন। ঢাকার উত্তরা, খুলনা, হবিগঞ্জ ও সিলেটে গণমিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। লক্ষ্মীপুর, নরসিংদীসহ বিভিন্ন স্থানের গণমিছিলে হামলা ও বাধা দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। আজ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।