০৬:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাগরিকদের লেবানন ছাড়তে বলল যুক্তরাষ্ট্র–যুক্তরাজ্য–কানাডা

ইসরায়েলের সঙ্গে সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিরতার মধ্যে লেবানন ছাড়তে নাগরকিদের নির্দেশনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুুক্তরাজ্য ও কানাডাসহ কয়েকটি দেশ। আজ রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদেন এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈরুতে মার্কিন দূতাবাস নির্দেশনা দিয়ে বলেছে, ‘টিকিট পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে’ নাগরিকদের লেবানন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। তবে কেউ যদি দেশটি ছাড়তে না পারেন সেক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামিও একই সতর্কতা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আঞ্চলিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে পারে।’

ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমিতে সম্প্রতি হামলায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে গত মঙ্গলবার বৈরুতে হামলা চালায় ইসরায়েল। এ হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুকর। এর কয়েক ঘণ্টা পরই ইরানের রাজধানী তেহরানে হত্যা করা হয় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়াকে। তবে এ হত্যাকাণ্ডের দায় এখনও স্বীকার করেনি ইসরায়েল। এসব ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্যে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার প্রতিশোধ নিতে স্থানীয় সময় রোববার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বেইট হিল্লেলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা শনিবার দক্ষিণ লেবাননে একাধিক হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে একটি ড্রোন হামলায় দেইর সেরিয়ান গ্রামে এক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

ইসমাইল হানিয়া ও ফুয়াদ শুকরকে হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করয়েছে ইরান ও তার সমর্থিত মিত্র বাহিনী। এরইমধ্যে ইসরায়েলকে কঠোর জবাবের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।

জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নাগরিকদের যতদ্রুত সম্ভব লেবানন ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছে। একই সঙ্গে জর্ডানের কাউকে এ দেশে ভ্রমণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। আর কানাডা সরকার নাগরিকদের ইসরায়েল ও জর্ডানে ভ্রমণ করতে নিষেধ করে দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে।

মার্কিন দূতাবাস শনিবার নির্দেশনা দিয়ে বলেছ, যারা লেবাননে থাকতে চান তাদের পরিকল্পনা প্রস্তুত করা উচিত। একই সঙ্গে তারা কোন জায়গায় থাকতে চান তা–ও ঠিক করে রাখতে হবে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট স্থগিত এবং বাতিল করেছে। অনেক এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে– এ অবস্থায় নাগরিকদের উদ্দেশে ওই কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

নাগরিকদের লেবানন ছাড়তে বলল যুক্তরাষ্ট্র–যুক্তরাজ্য–কানাডা

আপডেট : ০১:৩৮:৪২ অপরাহ্ন, রোববার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

ইসরায়েলের সঙ্গে সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিরতার মধ্যে লেবানন ছাড়তে নাগরকিদের নির্দেশনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুুক্তরাজ্য ও কানাডাসহ কয়েকটি দেশ। আজ রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদেন এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈরুতে মার্কিন দূতাবাস নির্দেশনা দিয়ে বলেছে, ‘টিকিট পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে’ নাগরিকদের লেবানন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। তবে কেউ যদি দেশটি ছাড়তে না পারেন সেক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামিও একই সতর্কতা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আঞ্চলিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে পারে।’

ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমিতে সম্প্রতি হামলায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে গত মঙ্গলবার বৈরুতে হামলা চালায় ইসরায়েল। এ হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুকর। এর কয়েক ঘণ্টা পরই ইরানের রাজধানী তেহরানে হত্যা করা হয় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়াকে। তবে এ হত্যাকাণ্ডের দায় এখনও স্বীকার করেনি ইসরায়েল। এসব ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্যে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার প্রতিশোধ নিতে স্থানীয় সময় রোববার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বেইট হিল্লেলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা শনিবার দক্ষিণ লেবাননে একাধিক হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে একটি ড্রোন হামলায় দেইর সেরিয়ান গ্রামে এক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

ইসমাইল হানিয়া ও ফুয়াদ শুকরকে হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করয়েছে ইরান ও তার সমর্থিত মিত্র বাহিনী। এরইমধ্যে ইসরায়েলকে কঠোর জবাবের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।

জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নাগরিকদের যতদ্রুত সম্ভব লেবানন ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছে। একই সঙ্গে জর্ডানের কাউকে এ দেশে ভ্রমণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। আর কানাডা সরকার নাগরিকদের ইসরায়েল ও জর্ডানে ভ্রমণ করতে নিষেধ করে দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে।

মার্কিন দূতাবাস শনিবার নির্দেশনা দিয়ে বলেছ, যারা লেবাননে থাকতে চান তাদের পরিকল্পনা প্রস্তুত করা উচিত। একই সঙ্গে তারা কোন জায়গায় থাকতে চান তা–ও ঠিক করে রাখতে হবে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট স্থগিত এবং বাতিল করেছে। অনেক এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে– এ অবস্থায় নাগরিকদের উদ্দেশে ওই কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।